নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ৫৩৯ জনের মৃত্যু হল। উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশেও একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। হরিয়ানার হাথিনীকুণ্ড ব্যারেজ থেকে পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যমুনার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর ফলে দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শুধু দিল্লিতেই নয়, দেশের আরও অনেক রাজ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিহারের রাজধানী পটনা সহ বিভিন্ন জেলায় গতকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নালন্দা মেডিক্যাল কলেজে। এই হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডও জলে ভাসছে। এছাড়া পটনার বিভিন্ন জায়গাতেও জল জমে গিয়েছে।

বৃষ্টির ফলে বাড়ি ধসে উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে তিনজন এবং মুজফফরনগরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মুজফফরনগরের কাছে একটি গ্রামে বাড়ির ছাদ ধসে একই পরিবারের মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। বাবা ও তিন সন্তান গুরুতর জখম।

গুজরাতের ২১৩টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টিতে ৮৯টি পাকা বাড়ি ও ১,৪১৩টি কাঁচা বাড়ি ধসে গিয়েছে। ১৫,৯১২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে জলে ডুবে ১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১১৭ জন জখম।

বৃষ্টির ফলে অসমের পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। ১,২২৪টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফলে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। বৃষ্টির ফলে ৪২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ধসে গিয়েছে এবং ৪,৬০৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৪,৯২১ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কেরলেও ২,২৩২টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি। ৫,১৮৩ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪২৭টি বাড়ি পুরোপুরি ধসে গিয়েছে এবং ১১,২৭৬টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।