নয়াদিল্লি: জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকা রাতে ভাসবে আলোর বন্যায়। সীমান্ত টপকে জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া আটকাতে দুই দেশের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর মোট ৬৪৭ কিমি দীর্ঘ এলাকায়  গত এক বছরে ফ্লাডলাইট বসিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এর ফলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র  ত তিন বছরে বরাদ্দ করেছে ৫,১৮৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২,১৩৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকার প্রকল্পের জন্য।  এই প্রকল্পের মধ্যে ২০০ কিমি এলাকায় বেড়া তৈরি, ৪৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, ১১০ টি সুসংহত বর্ডার আউট পোস্টের পাশাপাশি রয়েছে ৬৪৭ কিমি দীর্ঘ এলাকা  ফ্লাড লাইটে আলোকিত করা।

সরকারের এক  আধিকারিক এই প্রকল্পকে সীমান্ত পরিকাঠামো ও উন্নয়নের কাজে কেন্দ্রের বড়সড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

নিয়ন্ত্রণ রেখা সহ ভারত-পাক সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৩,৩২৩ কিমি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৪,০৯৬ কিমি। চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি।

২০০৮-এ ভারত-চিন সীমান্তে ২৭ টি সীমান্ত সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। এরমধ্যে ২০১৪-১৬-তে আটটি সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে আরও নটি সড়কের।