নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের পঞ্চম এবং সম্ভবত কঠিনতম বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এবারের বাজেটে কৃষি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান ও বৃদ্ধির ওপর জোর দেবেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। জনমুখী ও সংস্কারমুখীর মধ্যে ভারসাম্য রাখাই চ্যালেঞ্জ হবে জেটলির।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছর আট রাজ্যে ভোট আসন্ন। এর মধ্যে বিজেপি-শাসিত রাজ্যের সংখ্যা তিন। এর সঙ্গেই রয়েছে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের ভ্রুকুটি। ফলে, এবারের বাজেটে নতুন গ্রামীণ প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া এমএনরেগা, গ্রামীণ আবাসন, সেচ প্রকল্প সহ বর্তমান প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধিও করা হতে পারে।
সম্প্রতি, গুজরাত নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলে বিজেপির ভোট শতাংশের হার কমেছে। এই বিষয়টিকেও মাথায় রাখছে মোদী সরকার বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। যে কারণে, কৃষিক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করতে পারেন জেটলি। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি। কিন্তু, নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলে, সেই সমর্থন অনেকটাই কমেছে। তা পুনরুদ্ধার করতে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ছাড়ের ঘোষণাও করা হতে পারে আগামীকালের বাজেটে।
আয়কর ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তের মন জয় করার পাশাপাশি জেটলির নজরে থাকবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রও। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জাতীয় সড়ক সহ পরিকাঠামো ক্ষেত্র, রেলের আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দেবেন জেটলি। একইসঙ্গে, সার্বিক আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানোর ওপরও নজর থাকবে তাঁর।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের বাজেটে আর্থিক ঘাটতির হার দেশের জিডিপি-র ৩.২ শতাংশে নামিয়ে আনাই হবে লক্ষ্য জেটলির। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন যে, এবারের বাজেট জনমুখী হবে না। ফলে, জিএসটি-উত্তর প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটের ওপর নজর থাকবে সকলের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেটলির সামনে বাধা অনেকগুলিই। কারণ, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ককে জিএসটি-র আওতাভুক্ত করেছে কেন্দ্র। ফলে, সেখানে কাটাছেঁড়া করার কোনও উপায় তাঁর একার ওপর নেই। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক ঘাটতি বাড়তে পারে। সেই দিকটিও সামলাতে হবে জেটলিকে।