এবারেও শুধু আক্রমণ করেই থামেননি কাটজু। তিনি তাঁর মন্তব্যের স্বপক্ষে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লেখেন, বিদ্রুপকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে শিখুন।
প্রসঙ্গত, সোমবার কাটজু তাঁর ফেসবুক পোস্টে বিহারিদের উদ্দেশে একাধিক বিদ্রুপত্মাক পোস্ট করেন। উরি হামলার পর এইমুহূর্তে অস্থির হয়ে রয়েছে ভারত-পাক সম্পর্ক। সেসময় বিহারিদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন এই বিচারপতি। তিনি তাঁর পোস্টে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে লেখেন পাকিস্তানিরা এই ‘জঙ্গলরাজ’ চালানোর ভাবনা বিহারিদের থেকেই পেয়েছেন। এমনকি তাঁর কাছে খবর আছে, পাকিস্তান কাশ্মীরকে তাঁদের সঙ্গে নিতে প্রস্তুত হলেও, বিহারকে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
তবে তারপরই ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজু দাবি করেন, প্রত্যেক মানুষের যেকোনও বিদ্রুপকে খোলা মনে গ্রহণ করার মতো ক্ষমতা থাকা উচিৎ। কাটজু বলেন, তিনি প্রত্যেককে নিয়েই মজা করে থাকেন। এরআগে বাঙালি, ব্রাক্ষ্ণণ এবং তামিলদেরও ঠুকতে ছাড়েননি কাটজু।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কাটজুর এধরনের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা কেসি ত্যাগীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী আইনে মামলা করা উচিত্। এর পাল্টা হিসেবে কাটজু বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী আইনে নয়, লুনাটিক অ্যাক্টে মামলা হওয়া উচিত্।