রাঁচি:পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব। আজ রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। লালু ছাড়াও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এই মামলায় লালুর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জগন্নাথ মিশ্ররও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।


এর আগে ৬ জানুয়ারি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। এই কেলেঙ্কারিতে মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালুপ্রসাদ।

এরফলে দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের সংকট আরও বাড়ল।

এই ঘটনায় বিজেপি ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে আরজেডি। দলের অভিযোগ, বিজেপি ও নীতিশ সিবিআইয়ের মাধ্যমে লালুকে জেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করেছে। সিবিআই আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আর্জি জানানো হবে বলে আরজেডি জানিয়েছে।

এর আগে ৬ জানুয়ারি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় বা দেওঘর কোষাগার মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। ২৩ ডিসেম্বর রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত আরেকটি মামলাতেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। এক্ষেত্রে ভুয়ো নথি দেখিয়ে দেওঘর ট্রেজারি থেকে প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
মোট ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর কোষাগার মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু বর্তমানে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ কাটাচ্ছেন। এদিন যে মামলায় সিবিআই বিশেষ আদালত রায় দিয়েছে তা হল, ১৯৯০-এর দশকে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৫.৬২ কোটি টাকা অবৈধভাবে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা। ওই সময় অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু।