ভুবনেশ্বর: রাহুল গাঁধীকে এমন ভাবে বেফাঁস করে দেবেন যে, তিনি জনসমক্ষে আর কোনওদিন মুখ দেখাতেই পারবেন না! কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পরদিনই হুমকি দিলেন শ্রীকান্ত জেনা। এআইসিসি-র সুপারিশক্রমে শনিবার এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কোরাপুটের প্রাক্তন দলীয় বিধায়ক, দলিত নেতা কৃষ্ণচন্দ্র সাগারিয়াকে দলবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছে ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস।
জেনা সাংবাদিক বৈঠকে রবিবার বলেন, ২৫ জানুয়ারি রাহুল গাঁধী ওড়িষা আসছেন বলে মনে হয়। সেদিন ওঁকে এমনভাবে উন্মোচিত করব যে, আর কখনও সবার সামনে মুখই দেখাতে পারবেন না। তবে ঠিক তিনি কী করতে চলেছেন, তার কোনও আভাসই দেননি জেনা।
কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর ফুঁসতে থাকা জেনা আরও বলেন, রাহুল গাঁধী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি খনি মাফিয়াদের সঙ্গেই চলবেন। যে ওড়িষা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এককালে উত্কলমণি গোপবন্ধু দাশের সঙ্গে ছিল, আজ খনি মাফিয়াদের কবলে চলে গিয়েছে। বহুবার এ ব্যাপারে রাহুল গাঁধীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তিনি খনি মাফিয়াদের পাশে থাকাই শ্রেয় মনে করেছেন। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপবন্ধু দাশকে ‘ওড়িষার গাঁধী’ আখ্যা দেওয়া হয়। তিনিই উত্কলমণি শিরোপা পেয়েছেন সমাজকর্মী, সংস্কারক, রাজনৈতিক কর্মী, কবি-সাহিত্যিক হিসাবে নিজের অবদানের জন্য।
জেনার আরও অভিযোগ, রাহুল গাঁধী এও স্থির করেছিলেন যে, ওড়িষার শাসনভার পট্টনায়ক পরিবারের হাতেই থাকবে, সেজন্য তিনি বিজু জনতা দল সভাপতি নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে মহাজোটও ঘোষণা করেছিলেন।
কংগ্রেসের দাবি, জেনা ও সাগারিয়া দলের রাজ্য নেতৃত্বের ক্ষতি করেছেন মিডিয়ার কাছে দলবিরোধী বিবৃতি দিয়ে।