নয়াদিল্লি: মাঝেমধ্যেই চড়তে হয় রাজধানী, শতাব্দী আর দুরন্ত এক্সপ্রেসে? তাহলে আপনার পকেটে বড় খাবল বসতে চলেছে। এমনিতেই তো এই ট্রেনগুলোয় টিকিটের দাম বেশি আর এবার রেল মন্ত্রক এগুলোর খাবারের দাম আরও বাড়াতে চলেছে। নতুন দাম চালু হবে আগামী বছর ২৯ মার্চ থেকে।


এর আগে ২০১৩-য় শেষবার বেড়েছিল রাজধানী, শতাব্দী আর দুরন্তর খাবারের দাম। এবার রেল মন্ত্রক বলেছে, প্রথম শ্রেণির শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় চায়ের দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৩৫ টাকা। জলখাবার ৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০, মধ্যাহ্নভোজ ও রাতের খাবারের দাম ১৪০ থেকে বেড়ে ২৪৫ টাকা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় এসিতে চায়ের দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ২০ টাকা, জলখাবার ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা ও মধ্যাহ্নভোজ-রাতের খাবার ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা। সন্ধেয় পরিবেশন করা চায়ের দামও ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা হবে।

দুরন্ত এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসে সকালের চায়ের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হচ্ছে। জলখাবারের দাম ৪০ থেকে বেড়ে হবে ৬৫ টাকা, দুপুর ও রাতের খাবারের দাম ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হচ্ছে। সন্ধের চায়ের দাম ২০ থেকে বেড়ে হবে ৫০। তবে শুধু দামই বাড়ছে না, কিছু পরিষেবাও যুক্ত হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, জলখাবারে প্রাদেশিক খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকবে, অর্থাৎ কপালে থাকলে প্রাতঃরাশে লুচি বেগুনভাজা পেতে পারেন। ৩৫০ গ্রাম খাবারের দাম হবে ৫০ টাকা। খাবারের তালিকায় যোগ হচ্ছে বিরিয়ানিও। ভেজ, ডিম ও চিকেন বিরিয়ানির দাম হবে যথাক্রমে ৮০, ৯০ ও ১১০ টাকা।

রেল মন্ত্রক ঠিক করেছে, আইআরসিটিসির খাবারের গুণগত মান দামের সমানুপাতিক হবে, যাতে খাবার পরিবেশনকারীরা কোনওভাবে অতিরিক্ত টাকা দাবি না করতে পারেন, নিশ্চিত করা হবে তাও। অন্যান্য মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনেও চা ও অন্যান্য সাধারণ খাবারের দাম ৪০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গড়ি বলেছেন, খাবারের গুণমান বাড়ানোর জন্যই দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর আগে এই সব ট্রেনে ২০১২ সালে শেষবার খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে জনতা ভোজনে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না, আগের মত ২০ টাকাই থাকছে।