নির্ধারিত সীমার বেশি পুরানো টাকা রাখলে শাস্তি কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে কম করে ৫০ হাজার টাকা বা যত বেআইনি অর্থ থাকবে তার পাঁচগুণ জরিমানা হতে পারে। এক্ষেত্রে যে জরিমানা সবচেয়ে বেশি হবে, সেটাই কার্যকর করা হবে। স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট এই মামলার শুনানি করবেন এবং শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অর্ডিন্যান্সে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টরস-এর সুপারিশগুলি অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা না দেওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে তা সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড়ের সময়সীমা পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য কালো টাকা ও জাল নোট মোকাবিলায় গত ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। এর পর ব্যাঙ্কে বাতিল নোটে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে। কিন্তু এখনও অনেক টাকাই জমা পড়েনি। গত ১৩ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে যে ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের দিন বাজারে চালু ছিল, তার ৮০ শতাংশ অর্থাত্ ১২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে। অর্থনাতিবিদদের অনুমান, নির্ধারিত ৩০ ডিসেম্বর সময়সীমা পর্যন্ত ১৩ থেকে ১৩.৫০ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়বে ব্যাঙ্কগুলিতে।