পটনা: ১১ বছর পর জেল থেকে বেরিয়েই বহু খুন, ধর্ষণে অভিযুক্ত আরজেডি বাহুবলী মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নিশানা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমারকে। তাঁর স্পষ্ট কথা, তাঁর নেতা লালুই, ঘটনাচক্রে নীতীশকুমার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শনিবারই ভাগলপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান সিওয়ানের এই ৪বারের সাংসদ। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য হাজির ছিল ৩০০ গাড়ির কনভয়। আরজেডি-র শীর্ষ সংগঠন আরজেডি ন্যাশনাল কমিটির এই সদস্য দলীয় সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের রীতিমত ঘনিষ্ঠ। তবে তিনিই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জোটসঙ্গী নীতীশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিন্দুমাত্র উষ্ণ নয়।
বিহারের ‘জঙ্গলরাজের প্রতীক’ হিসেবে পরিচিত সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪০টিরও বেশি খুন, তোলাবাজি, ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা ঝুলছে। জেডিইউ-আরজেডি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি এভাবে জামিন পেয়ে যাওয়ায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা।



নীতীশ অবশ্য সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য গায়ে মাখতে রাজি নন। এই মন্তব্য তাঁর কাছে ‘গুরুত্বহীন’ বলে তাঁর দাবি। ২০০৫-এ বিজেপির সাহায্যে ক্ষমতায় এসে সাহাবুদ্দিনের সন্ত্রাসের রাজত্বে ইতি টানার চেষ্টা করেন নীতীশ। তাঁকে খুনের অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু এখন বিহারের চিত্র আলাদা। বিজেপিকে ছেড়ে এখন নীতীশ সেই লালুরই হাত ধরেছেন। ফলে সাহাবুদ্দিনও জেলমুক্ত, ফিরে এসেছেন তাঁর পুরনো ঘাঁটি সিওয়ানে।