ভিডিও বার্তায় কর্ণ বলেন, আমি দেশকে ভালবাসি। দেশ আমার কাছে সবার আগে। সম্মান করি দেশের সেনা জওয়ানদের। তাঁদের জন্যই আমরা সুরক্ষিত। দেশের মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারি। আমার টিমে ৩০০ ভারতীয় কলাকুশলী রয়েছেন। যাঁরা এই ছবির জন্য রক্ত জল করে পরিশ্রম করেছেন। এখন ছবি মুক্তি ব্যাহত হলে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে আর প্রতিবেশী দেশের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চান না কর্ণ। তিনি আরও বলেন, গত দু’সপ্তাহ ধরে আমি কেন চুপ করে ছিলাম, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কিছু মানুষ মনে করছেন, আমি ভারত-বিরোধী। তাঁদের এই মনোভাবে অত্যন্ত আঘাত পেয়েছি। তাই কিছু বলতে পারিনি।
কর্ণ জানিয়েছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যখন ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর শ্যুটিং হয়েছে, তখন পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা ছিল। পড়শি দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চলছিল। সেই চেষ্টাকে তিনি সম্মান করেন।
প্রসঙ্গত, কর্ণের ছবি 'অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল'-এ পাকিস্তানি শিল্পী ফাওয়াদ খান অভিনয় করায় এমএনএস-এর হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। উরি হামার পরই পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কটের ডাক দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। পাক শিল্পীদের দেশে ফিরে যেতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর দিওয়ালিতে মুক্তি পাওয়ার কথা 'অ্যায় দিল..'-এর। কিন্তু এমএনএস হুমকি দিয়েছে, রাজ্যের কোনও মাল্টিপ্লেক্সে ছবিটি দেখানো হলে তাঁরা ভাঙচুর চালাবে। সিঙ্গল-স্ক্রিন থিয়েটার অপারেটররা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের হলে দেখানো হবে না ‘অ্যায় দিল.. ‘। সিনেমা ওনার এক্সিবিটরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্ণাটক, গোয়ার কোনও সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে না পাক শিল্পী অভিনীত ছবিটি।
‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর মুক্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন ফিল্মস অ্যান্ড প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ছবি মুক্তির জন্য সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।