মুম্বইয়ের বাসিন্দা রশ্মির ১৩ বছর আগে বিয়ে হয় আসিফের সঙ্গে। প্রথমদিকে সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আসিফ তাঁর ওপর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। সন্তান জন্মের পর এই চাপ আরও বাড়ে। তাঁর অভিযোগ, আসিফ অপহরণ করেছেন তাঁদের ৭ বছরের ছেলেকে। এখন আসিফ অন্য এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করেছেন, তাঁকেও ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করছেন তিনি। তিনি রশ্মিকে হুমকি দিচ্ছেন, ধর্ম পাল্টাতে রাজি না হলে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হবে।
রশ্মির অভিযোগ, আসিফ তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে তাঁকে চাপ দিতেন তিনি। তিনি বারবার কথামত টাকা এনে দিয়েছেন, তারপরেও তাঁকে মারধর, অত্যাচার সইতে হয়েছে।
রশ্মির অভিযোগ, তাঁর স্বামী আসলে লাভ জিহাদি। অন্য যে তরুণীকে এখন তিনি ফাঁসিয়েছেন, তাঁর বয়স ২৮, আসিফের ৪৭। সেই তরুণীর ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি এসএমএস রয়েছে রশ্মির কাছে। তাঁর অভিযোগ, মুনির নামে আসিফের এক বন্ধুও এই ঘটনায় জড়িত। তাঁর বক্তব্য, এরা প্রথমে তাঁর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে, এখন অন্য আর একজনের সঙ্গেও এমনই করতে চলেছে। আসিফ নাকি তাঁকে খুনের হুমকিও দিয়েছেন, বলেছেন, কোথায় কোথায় তাঁর হাত রয়েছে, সে ব্যাপারে রশ্মির কোনও আন্দাজই নেই।
বান্দ্রা পুলিশ আসিফ ও মুনিরের নামে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। যদিও এ ব্যাপারে আসিফের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।