নয়াদিল্লি ও কলকাতা: সবুজ ঝেড়ে মুকুল এবার গেরুয়া। ১১ অক্টোবর তৃণমূল ছেড়েছিলেন। ৩ নভেম্বর যোগ দিলেন বিজেপিতে। প্রথমেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। তারপর রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো মোদি মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্যের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান। সেখানে তখন হাজির আর এক মোদী-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, টিম অমিত শাহের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


বিজয়বর্গীয় মুকুলকে বিজেপির উত্তরীয় পরালেন। টিম মোদীর সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ মুকুলের ভূয়সী প্রংশা করলেন। রবিশঙ্কর বললেন, মুকুল তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। এরপরই দিল্লির অশোক রোড থেকে মুকুলের সরাসরি নিশানা কালীঘাট। দাবি করলেন, বাংলার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। ২০২১-এ বিজেপির নেতৃত্বে নতুন সরকার আসবে। রাজনীতির দাঁড়িপাল্লায় বিজেপিকে ওপরে তুলে, পুরনো দলকে বার্তা দিতেও চেষ্টার কসুর করেননি তিনি। মুকুল বলেছেন, বিজেপি সমর্থন না করলে তৃণমূল তৈরিই হত না। মুকুলের পুরনো দল তৃণমূল অবশ্য এসবে গুরুত্বই দিতে নারাজ।

একদা তৃণমূলের মুকুল এখন বিজেপিতে। এই প্রেক্ষিতে ফের একবার তৃণমূল-বিজেপিকে একসারিতে ফেলে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে গিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস।

বছর গড়ালেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট। এই প্রেক্ষাপটে মুকুলের তৃণমূল শিবির থেকে বিজেপিতে যাওয়া কি কোনও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে? উত্তর দেবে সময়ই।