অমিত শাহ ট্যুইট করেছেন, অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড মামলার গতিপ্রকৃতি, ক্রিশ্চিয়ান মাইকেলের এসওএস। কেউ জানেন কি কেন ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল শ্রীমতী গাঁধী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের বিস্তারিত তথ্য তাঁর আইনজীবীকে দিয়েছেন? তিনি কি সেগুলি খোদ শ্রীমতী গাঁধীকে পাঠাতে চেয়েছেন? কেন?
অমিত শাহ এও বলেন, মাইকেলের আইনজীবী নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর মক্কেল সত্যিই তাঁকে কাগজপত্র পাচার করেছেন এবং তিনি ভেবেছিলেন, ওগুলি ওষুধের তালিকা। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর নাম না করে বিজেপি সভাপতি মন্তব্য করেছেন, আমরা ঝান্ডু বাম, টাইগার বাম, ব্যথা-বেদনা উপসমের এসব ওষুধের নাম শুনেছি, কিন্তু কী সেই ‘পরিবার মলম’ যা প্রত্যেক মিডলম্যানই চায়! যা-ই হোক না কেন, বারবার বলতে হবে মাইকেলের আইনজীবীর কংগ্রেসি পরিচিতির কথা। তাঁর তথাকথিত বহিষ্কার একটা লোকদেখানো ব্যাপার। তিনি এখনও মাইকেল ও গাঁধী পরিবারের যোগসূত্র।
প্রসঙ্গত, মাইকেলের কৌঁসুলি হয়ে আদালতে দাঁড়ানোর পর কংগ্রেস আলজো কে জোসেফ নামে দলের যুবশাখার ওই পদাধিকারীকে বহিষ্কার করে।
বিজেপি সভাপতির দাবি, জাতীয় স্বার্থেই মাইকেলের আইনজীবীর ২০০৮ সালের সেইসব নথির ব্যাপারে সব জানানো উচিত যাতে মিসেস গাঁধীর প্রসঙ্গ আছে। ঘটনা হল, মাইকেলের সঙ্গে একটি পরিবারের সখ্য সময়ের পরীক্ষা পেরিয়ে টিকে আছে, তা খুব গভীর।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিল্লির একটি আদালত ইউপিএ জমানায় কেনা ভিভিআইপি চপার কেনায় মিডলম্যানের ভূমিকা পালনে অভিযুক্ত মাইকেলের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। ইডি অভিযোগ করেছিল, মিসেস গাঁধী সংক্রান্ত প্রশ্নের মোকাবিলা কীভাবে করবেন, জানতে চেয়ে আইনজীবীদের চিরকুট পাঠিয়ে মাইকেল আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকারের অপব্যবহার করেছেন। জেরায় মাইকেল ‘এক ইতালিয় মহিলার ছেলের’ কথা বলেছেন, একবার মিসেস গাঁধীর নামও নিয়েছেন বলেও দাবি করে তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির এই দাবিকে অস্ত্র করে কংগ্রেস, বিশেষত গাঁধী পরিবারকে নিশানা করেছে বিজেপি।