বরেলি: ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে ফের নিশানায় দীপিকা পাড়ুকোন। এবার অভিনেত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করল ক্ষত্রিয় মহাসভা। অন্যদিকে, দীপিকার মাথা কাটার দাম ১০ কোটি টাকা ধার্য করলেন হরিয়ানার বিজেপি নেতা।


পদ্মাবতী ছবিতে রানী পদ্মিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দীপিকা। রবিবার, বরেলির দামোদর স্বরূপ উদ্যানে অখিল ভারতীয় ক্ষত্রীয় মহাসভার সদস্যরা দীপিকা ও ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীর কুশপুতুল দাহ করে।


ছবিমুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে তারা মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে হাজির হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। সেখানে দীপিকা ও বনশালীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় মহাসভার সদস্যদের।


দলের যুব নেতা ভূবনেশ্বর সিংহ বলেন, দীপিকার উপলব্ধি হওয়া উচিত, জ্যান্ত পুড়তে কেমন অনুভূতি হয়। রানীর বলিদান কখনই বুঝতে পারবেন না অভিনেত্রী।


তিনি যোগ করেন, যে কেউ তাঁকে জ্যান্ত পোড়াতে পারলে, তিনি তাঁকে ১ কোটি টাকা দেবেন। মুক্তির আগে তাঁদের ছবি দেখাতে হবে বলেও দাবি তোলে মহাসভার সদস্যরা।


এই প্রেক্ষিতে, ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের থেকে হুমকির রিপোর্ট তলব করেন জেলা পুলিশ সুপার রোহিত সিংহ। তিনি বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পরই ব্যবস্থাগ্রহণ করা সম্ভব।


এই প্রথম নয়। এর আগেও কট্টরপন্থীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে দীপিকাকে। অভিনেত্রীর নাক কেটে দেওয়ার হুমকি দেয় কট্টরপন্থী রাজপুত সংগঠন করণী সেনার নেতা মাহিপাল সিংহ মাকরানা।


করণী সংগঠনের ওই নেতা একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছেন, রাজপুতরা কখনও কোনও মহিলার গায়ে হাত তোলেন না, কিন্তু যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে লক্ষ্ণণ যেমন সূর্পণখার নাক কেটে নিয়েছিলেন, ঠিক তেমন তাঁরা দীপিকার নাক কেটে নিতেও পিছপা হবেন না।


এছাড়া, মেরঠের ঠাকুর নেতা, ঠাকুর অভিষেক সোম দীপিকা ও বনশালীর মাথার দাম ধার্য করেন পাঁচ কোটি। হুমকির জেরে, দীপিকার বাড়ি ও অফিস- দুজায়গাতেই পুলিশ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে।


এর মধ্যেই এদিন হরিয়ানা বিজেপির মুখ্য জনসংযোগ সমন্বয়কারী সূরজপল আমু সেই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেন। একইসঙ্গে, অভিনেতা রণবীর সিংহের ‘ঠ্যাং ভাঙার’ হুমকিও দেন তিনি।


https://twitter.com/ANI/status/932197320208277504

https://twitter.com/ANI/status/932198566667239425

ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিকৃত করার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ‘পদ্মাবতী’-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। চলতি বছরের গোড়ায় জয়পুরে করণী সেনার হাতে আক্রান্ত হন বনশালী। জয়পুর ও কোলাপুরে ছবির সেটে ভাঙচুর চালানো হয়।