নয়াদিল্লি: দূরপাল্লার ট্রেনে বসে গরম চায়ের ছ্যাঁকায় জিভ আরও একটু বেশি জ্বলতে চলেছে। আগামী বছর থেকে চা থেকে খাবার- সব কিছুর দামই ৩০-৫০ শতাংশ বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাবারের দাম বাড়াতে চলেছে রেলওয়ে বোর্ড। রয়েছে নতুন চালু হওয়া জিএসটির চাপও।


এছাড়া দুর্গা পুজো, দীপাবলীর মত উৎসবের সময় রেল ট্রেনভাড়া বাড়ানোর কথা বাড়ছে। আবার অপ্রচলিত সময়ে সফর করলে, তুলনামূলকভাবে অপরিচিত কোনও পথের টিকিট কাটলে বা প্যান্ট্রি পরিষেবা না থাকা ট্রেনে চড়লে টিকিটের দাম কম পড়তে পারে।

শেষবার দূরপাল্লার ট্রেনে খাবারের দাম বাড়ানো হয় ২০১২-য়। তার ৬ বছর পর আবার বাড়তে চলেছে দাম। রেলওয়ে বোর্ডের পর্যটন ও ক্যাটারিং বিভাগ নতুন দামের তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে, বোর্ডের ফিনান্স ডিরেক্টরেটদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সংশোধিত দামের তালিকা। জানা গিয়েছে, জিএসটি চালু হওয়ার পর রেলে খাবার সরবরাহকারীদের পক্ষে আগের দামে খাবার দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্টেশনে যে সব খাবার বিক্রি হয় তার ওপর বসে ৫ শতাংশ জিএসটি, ট্রেনে সরবরাহ খাবারের ওপর জিএসটি বসে ১৮ শতাংশ। তাই এখনকার দামে পুরনো গুণমানের খাবার সরবরাহ সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা।

রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তারা আলোচনা করেছেন। রেল জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছরের কোনও সময় তারা খাবারের দাম ৩০-৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।

ঘটনা হল, বাজারের থেকে অনেক সস্তায় খাবার দেয় রেল। চায়ের দাম ৭ টাকা, রুটি, মাখন, কাটলেটের নিরামিশ প্রাতঃরাশ মাত্র ৩০ টাকা। রুটি, মাখন, ওমলেটের আমিষ প্রাতঃরাশের দাম ৩৫ টাকা মাত্র। জলের বোতলের দাম ১৫ টাকা, নিরামিষ ও আমিষ থালির দাম ৫০ ও ৫৫ টাকা করে। যদিও যাত্রীরা এই দামে কখনওই খাবার পান না, কারণ সংশ্লিষ্ট খাবার সরবরাহ সংস্থা দাম অনেকটাই বেশি ধরে নেয়। এ নিয়ে নিয়মিত রেলের কাছে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে।