বেঙ্গালুরু তীব্র টানাপোড়েনের পর অবশেষে আজ সকাল নয়টায় বিএস ইয়েদুরাপ্পা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার বিজেপির কাছে নেই। ১০৪ আসনে জিতে কর্নাটকে একক বৃহত্তম দল বিজেপি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিজেপিকে বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এখন প্রশ্ন, এজন্য প্রয়োজনীয় আরও ৮ বিধায়কের সমর্থন বিজেপি কোথা থেকে পাবে।
আর এই অবস্থায় ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ আরও জোরাল হচ্ছে। বিজেপি দল ভাঙাতে পারে, এই আশঙ্কায় তটস্থ কংগ্রেস ও জেডিএস। এই দুটি দল তাদের তাদের বিধায়কদের কোচি, হায়দরাবাদ ও বিজয়ওয়াড়ায় সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর ইগলটন হোটেলে রেখেছে। এরইমধ্যে খবর এসেছে এক বিধায়ক রাজশেখর পাটিল অসুস্থতার কারণে রিসর্টের বাইরে চলে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জ্বরের জন্য রিসর্টে থাকতে পারছেন না তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, অন্য কোনও দল নয়, তিনি রয়েছেন নিজের দল কংগ্রেসের সঙ্গেই। কংগ্রেসের দুই বিধায়ক প্রথম থেকেই নিখোঁজ। সূত্রের খবর, রিসর্টে এখন কংগ্রেসের ৭৮-এর মধ্যে ৭৫ জন বিধায়ক রয়েছেন।
২২৪ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপি ১০৪ আসন পেয়েছ। কংগ্রেস ৭৮ এবং জেডিএস ৩৭ আসন পেয়েছে। এবার ভোট হয়েছে ২২২ আসনে। তাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য বিজেপির ১১২ সদস্য প্রয়োজন।
অন্য একটি সূত্রের খবর, কংগ্রেসের চার বিধায়ক দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে দুজনের বিজেপি শিবিরে ভেড়ার খবর এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন বেল্লারির বিজয়নগরের বিধায়ক আনন্দ সিংহ। তিনি বিজেপি সরকারে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেসের এক বিধায়ক ডি কে সুরেশ বলেছেন, আনন্দ সিংহ ছাড়া বাকি সব বিধায়ক দলের সঙ্গেই রয়েছেন। আনন্দ সিংহ মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় জন পি জি পাটিল। এক কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁরা পাটিলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সফল হননি।
এরইমধ্যে বড় সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস শিবিরও। গতকাল পর্যন্ত পদ্ম শিবিরের দিকে ঝুঁকে থাকা দুই নির্দল বিধায়ককে নিজেদের দিকে টেনে এনেছে কংগ্রেস। নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ এবং কেপিজেপি-র বিধায়ক আর শঙ্করকে আজ কংগ্রেসের ধর্ণাতেও দেখা গিয়েছে। এর আগে শঙ্কর বিজেপিকে সমর্থনের ঘোষণা করেছিলেন।

অন্যদিকে, জেডিএস ও কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় কংগ্রেস বিধানসভায় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সদস্য মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। দুই দলের দাবি, বিধানসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে এ ধরনের মনোনয়ন অবৈধ। আদালত মামলা গ্রহণ করেছে এবং আগামীকাল মূল মামলার সঙ্গেই শুনানি হবে।