গো-রক্ষা দলের সদস্যরা নৃশংসভাবে লোকজনকে মারধর করছে, এমন ভিডিও প্রকাশ্যে আসার দু বছর বাদে গত ৬ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়, আঘাত করার উদ্দেশ্যে অপহরণ, অন্যায় ভাবে আটকে রাখা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আরও বেশ কিছু ধারায়। পালিয়ে বাঁচতে তিনি গা ঢাকা দিয়ে বৃন্দাবনেই ছিলেন। সাহারানপুরের এক যুবকের দায়ের করা অস্বাভাবিক যৌন আচরণের অভিযোগে সতীশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করে সতীশ ও তার লোকজন যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই যুবক। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি জানান, জোর করে রাজপুরার এক গোশালায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে সতীশ, বাবলু ও আরও ১০-১৫ জন। কয়েকজন আমার মুখে প্রস্রাব করে দেয় বলেও জানান তিনি।
গত সপ্তাহে সতীশের যৌনবিকৃতির শিকার বলে দাবি করা আরও এক যুবক জানিয়েছিলেন, তাঁকেও আটকে রেখে তাঁর জিনিসপত্র কেড়ে নেয় সতীশের লোকজন, তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার চালান সতীশ।
আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে গো-রক্ষা দল ‘কসাইখানায় পাচারের জন্য’ গরু নিয়ে যাওয়া ট্রাকে চড়াও হয়ে চালকদের মারধর, ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করত বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।