এপর্যন্ত সাংবাদিক-সমাজকর্মী গৌরীর নৃশংস হত্যার তদন্তে নেমে প্রায় ৬৮০টি ফোন কলের রেকর্ড, টেক্সট মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা খতিয়ে দেখেছে সিট।
২১ সদস্যের সিট বেশ কিছু ক্লু পেয়েছে বলে জানান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামলিঙ্গা রেড্ডিও।
গৌরী নিধনে হিন্দু মৌলবাদী, নকশাল যোগসাজশ বা ব্যক্তিগত বিরোধ সহ সম্ভাব্য প্রতিটি দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ অফিসারটি। গৌরী যে দক্ষিণপন্থীদের বিরোধিতা করেছেন আজীবন, তারা ছাড়াও সন্দেহের আঙুল উঠেছে মাওবাদীদের দিকেও। গৌরীর পরিবারও বলেছে, দক্ষিণপন্থী বা মাওবাদী, সব দিকই তদন্তে খতিয়ে দেখা হোক।
পুলিশকর্তাটির দাবি, গৌরীর খুনে জড়িত বলে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি, একটি সংগঠনের নামও জানিয়েছে মাল্লানাগৌড়া। সিট এবার জেরা করতে চলেছে তাদের। তদন্তের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি এ নিয়ে এর বেশি কিছু জানাতে চাননি।
এদিকে মাল্লানাগৌড়ার মা উমাদেবী ছেলে যে বেঙ্গালুরুতে ছিল, সেটা তাঁর জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন। ইয়াদগির জেলার নারায়ণপুরা গ্রামে ছোট দোকান চালান উমাদেবী। জানান, বারো ক্লাসের পরীক্ষায় ফেল করে তিন মাস আগে বাড়ি ছাড়ে ছেলে, তাঁর বিধবা পেনশনের অর্থ থেকে বাঁচানো ২০০০ টাকা সঙ্গে নিয়ে। শুক্রবার ছেলের বন্ধুরা এসে গৌরী হত্যা মামলায় তার গ্রেফতার হওয়ার খবর দেয়। উমাদেবী বলেন, ওকে জামিনে ছাড়িয়ে আনার টাকা নেই। জানিনা, কারা ওর বন্ধু, কেনই বা ও এমন কাজে জড়াতে গেল।
এর মধ্যেই গৌরীর ভাই ইন্দ্রজিত্ লঙ্কেশ ও মা ইন্দিরা গতকাল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করে সিট তদন্তে আস্থার কথা জানিয়ে আসেন, চলতি তদন্তের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন।