বেঙ্গালুরু:  প্রবীণ সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের  তদন্তে  সিট গঠনের নির্দেশ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। জানা গিয়েছে, সিটের প্রধান হিসেবে থাকবেন আইজি স্তরের একজন অফিসার। তাঁর অধীনেই পুরো ঘটনার তদন্ত হবে।

গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকে নামে কন্নড় সাপ্তাহিক ট্যাবলয়ে়ডের সম্পাদক পদে ছিলেন প্রবীণ এই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশ। গতকাল সন্ধেবেলা বেঙ্গালুরু পশ্চিমে অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে গৌরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।

গেরুয়া শিবিরের কট্টর সমালোচক হিসেবে সবাই চিনতেন গৌরীকে। তাঁর এই আকস্মিক হত্যার ঘটনায় সমাজকর্মী থেকে সারা দেশের সাংবাদিকদমহল সকলেই প্রতিবাদে সরব। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন গৌরী। সেই সময়ও তিনি কোনও হুমকির আশঙ্কা তাঁর কাছে প্রকাশ করেননি বলে জানান সিদ্দারামাইয়া। এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।

বিভিন্ন ডানপন্থী সংগঠনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব গৌরীর মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সাংবাদিকরা কর্নাটকের যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গি হত্যার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। যদিও এখনও এই দুটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যোগ থাকার কোনও প্রমাণ হাতে পায়নি কর্ণাটক পুলিশ, দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।

আপাতত দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুকে গৌরী বিরোধী পোস্ট লেখার অভিযোগ রয়েছে।

প্রবীণ সাংবাদিকের হত্যার যেন সঠিক তদন্ত হয় এবং লঙ্কেশ পরিবার সুবিচার পান। সিদ্দারামাইয়া সরকারকে নিশ্চিত করতে বলেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। অভিযুক্তদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাহুল। গৌরী হত্যাকাণ্ডকে গণতন্ত্রের হত্যা বলে প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ।

এইমুহূর্তে সাংবাদিকের বাড়ির গেটের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গৌরীর বাড়ির পাশে থাকা অন্য প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আচমকা মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ বাজি ফাটার মতো আওয়াজ পান। তারপরই বাড়ির বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রবীণ সাংবাদিককে।