ইন্দোর: এবার নিজেই মা-বাবার খোঁজে পথে বেরোতে চান গীতা। ৭-৮ বছর বয়সে বুঝতে না পেরে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন মূক-বধির গীতা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর, গত অক্টোবর মাসে ভারত, পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তাঁকে দেশে ফেরানো হয়। দেশে ফিরলেও এখনও মা-বাবা, পরিবারের সন্ধান পাননি তিনি। অনেকেই নিজেদের তাঁর মা-বাবা পরিবারের লোকজন বলে দাবি করলেও কাউকেই চিনতে পারেননি গীতা। এবার তাই নিজেই ট্রেনে করে মা-বাবাকে খোঁজার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন গীতা।


এই মুহূর্তে গীতা রয়েছেন মূক-বধিরদের একটি প্রতিষ্ঠানে। সেখানকার ডিরেক্টর মণিকা পঞ্জাবি জানিয়েছেন, সাঙ্কেতিক ভাষায় গীতা জানিয়েছেন, ট্রেনে চড়ে মা-বাবাকে খুঁজতে যেতে চান তিনি। গীতার দাবি, যেখান থেকে তিনি বহু বছর আগে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গা তিনি দেখলে চিনতে পারবেন।

মধ্য প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। যদি সেই জায়গা দেখে তাঁর ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে। আরও বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ভালোবেসে ফেলেছে গীতা। মা-বাবাকে খুঁজে পেলেও সেখানে থাকতে চান তিনি। গীতা যখন এদেশে এসেছিলেন, তখন একেবারেই নিরক্ষর ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি হিন্দি, ইংরেজি, পাটিগণিত শিখেছেন।

প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত ডিসেম্বরেই আশ্বস্ত করেছিলেন গীতার মা-বাবাকে খুঁজে দিতে সবরকম সাহায্য করবে ভারত সরকার।

সলমন খান অভিনীত ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এর পরই গীতার কথা প্রকাশ্যে আসে। তাঁর কাহিনীটিও যে রূপোলি পর্দার মুন্নির মতোই...