নয়াদিল্লি: বিজেপির হাত থেকে রাজস্থানের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। তারা ক্ষমতায় ফিরলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এই প্রশ্নে জল্পনার মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট, দুজনেই আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়ছেন বলে জানিয়ে দিলেন। দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার কিনা, কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের মধ্যে কোনও ঘরোয়া বিবাদ আছে কিনা, এই জল্পনা অবশ্য উড়িয়ে দেন তাঁরা। তাঁরা একজোট হয়েই বিজেপিকে রুখবেন বলে জানান।
কংগ্রেস সদর দপ্তরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই আজ রাজস্থানের দৌসার বিজেপি সাংসদ হরিশ চন্দ্র মিনার কংগ্রেসে যোগদানের খবর ঘোষণা করা হয়।
গেহলট সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাজস্থানে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে যে, কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। আমি আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়ছি। সচিন পায়লট, অন্য সিনিয়র নেতারাও লড়বেন।
টিকিট বন্টন ঘিরে ওপরমহলের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ, খেয়োখেয়ির জেরে রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় দেরি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও গেহলট তা মানতে নারাজ। রাজস্থানে মনোনয়ন জমা শুরু হয়েছে গত সোমবার, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর নির্দেশে, গেহলটের অনুরোধে তিনিও ভোটে লড়ছেন বলে জানান পায়লট।
তিনি শেষবার ২০১৪য় আজমেঢ় লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়ে হেরে যান। চলতি বছরে এর আগে হওয়া উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি।
মূল দুই দাবিদারই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবার রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদ ঘিরে কংগ্রেসের ঘরোয়া লড়াই তুঙ্গে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়ালেও পায়লট বলেন, রাজ্যে দলে কোনও বিভাজনই নেই। নেতারা সবাই বিজেপিকে বিপুল ব্যবধানে হারানোর চেষ্টায় একজোট রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গেহলট বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কংগ্রেস কখনও রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম আগাম ঘোষণা করেনি, দল আজও সেই ধারা বহাল রাখতে পারে খুশি।