জাহাঙ্গিরাবাদ থানার ইন্সপেক্টর প্রীতম সিংহ ঠাকুর বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গত তিন মাসে দুই অথবা তিনবার গণধর্ষণ করা হয়েছে। শেষবার ধর্ষণ করা হয়েছে এ মাসের ১২ তারিখ। অভিযুক্ত দারোয়ান নানহু লাল ও অপর দুই অভিযুক্ত গোকুল পানওয়ালা (৪৫) ও জ্ঞানেন্দ্র পণ্ডিত (৩৬) মিষ্টির লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে সুমন পাণ্ডে (৫০) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। গোকুলের একটি পানের দোকান আছে। জ্ঞানেন্দ্র গাড়ি চালায়। কাউকে বললে ফল ভাল হবে না বলে মেয়েটিকে শাসাত তারা। ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু না জানালেও, গতকাল মা-কে সব কথা বলে মেয়েটি। এরপরেই তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) ধারায় গণধর্ষণ ও পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর পড়ে বাড়ি ফেরার সময় রেল লাইনের কাছে তিন ঘণ্টা ধরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে চারজন। এরপর তিন মাস ধরে ১০ বছরের এই মেয়েটির গণধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোপালে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।