চণ্ডীগড়:  ডেরা সাচা সৌদার প্রতিষ্ঠাতা গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিতর্কিত জীবন নিয়ে এখন সংবাদমাধ্যমে চর্চা তুঙ্গে। সামনে এসেছে তাঁর মহিলাপ্রীতির কথাও। রাম রহিমের গুহায় কীভাবে মহিলাদরে সাধ্বী বানিয়ে ব্যবহার করতেন ধর্ষক বাবা, তা এখন প্রায় সকলেরই জানা। ইতিমধ্যেই সেই ডেরায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিল এক নাবালিকা। অদ্ভুত ভাবে ডেরা প্রতিষ্ঠাতা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে সেই মেয়ের আর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

তিলওয়ালা জেলার বাসিন্দা শ্রদ্ধার সঙ্গে তার পরিবারের ২০০৮ সালের পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই। মেয়েটির তুতো ভাই পরমিন্দর সিংহের দাবি, শেষবার তাঁরা মেয়েটির সন্ধান পেয়েছিলেন ডেরা ম্যাগাজিনে। সেখানে লেখা ছিল মেয়েটি ডেরা অনুসরণকারী। এদিকে ডেরা প্রধানের গ্রেফতারির পর থেকে সিরসায় মেয়েটির খোঁজে সমানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর পরিবার পরিজনরা।

সাহে বাতিয়া বাসিরা, যে হোমে ডেরায় পড়তে গিয়ে নাবালিকারা থাকত, সেখানকার প্রধান পুনমের দাবি, গুরমিত জেল যাওয়ার পর থেকেই ডেরা ছেড়ে চলে গেছে শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধার মতো আরও বেশ কিছু পরিবার যাঁদের সন্তানরা ডেরায় গিয়েছিল পড়তে, তাদেরও ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে  পরিবার। এদিকে সিরসার ডেপুটি কমিশনার প্রভোজত সিংহের দাবি, সাহে বাতিয়ে বাসেরায় ২৯ জন নাবালিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ নাবালিকা সেখানেই থাকতে ইচ্ছুক, কারণ তাদের দাবি তারা ভালই আছে।