নয়াদিল্লি: সাক্ষাৎপ্রার্থীর আর্জি শুনে চমকে গিয়েছিলেন চন্দ্রভূষণ সিংহ। কী জবাব দেবেন! বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভাবনাচিন্তার পর রীতিমতো ঢোঁক গিলতে হল তাঁকে।


আলিগড়ের জেলাশাসক চন্দ্রভূষণ সিংহ ওরফে সি বি সিংহ। নিজের দফতরেই কাজে মগ্ন ছিলেন। তখনই একজন সাক্ষাতের অনুরোধ নিয়ে হাজির হন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর করিশ্মা কুমারী নামের ওই তরুণীকে দফতরে ডেকে নেন সি বি সিংহ। জেলাশাসকের দিকে একটি দরখাস্ত এগিয়ে দেন তরুণী। যার বয়ান পড়ে হতভম্ব সি বি সিংহ। কী লেখা ছিল ওই তরুণীর দরখাস্তে?

গত শুক্রবারের ঘটনা। সাক্ষাৎপ্রার্থী ওই তরুণী করিশ্মার আবেদনপত্রে লেখা রয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ তাঁর বিয়ে। কিন্তু তাঁর গ্রামে ঢোকার মূল সড়কের বেহাল দশা। ফলে বরযাত্রীকে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে বেশ হ্যাপা পোহাতে হবে। তাই আলিগড়ের জেলাশাসকের কাছে  ওই তরুণীর আর্জি, তাঁর গ্রামের রাস্তাটি মেরামত করা হোক দ্রুত। যাতে তাঁর বিয়ের 'বরাত' বা বরযাত্রী তাঁর গ্রামে সহজে পৌঁছে যায়। কোন ঝামেলা ছাড়াই।

গোটা ঘটনায় অবশ্য সি বি সিংহ নড়েচড়ে বসেছেন। তিনি ওই তরুণীর অনুরোধ নথিবদ্ধ করে ব্লক স্তরের কর্মকর্তাদের রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং সেটা ওই তরুণীর বিয়ের আগেই।

পরে করিশ্মা বলেন, "আমাদের গ্রামের রাস্তা এবং আমার বাড়ির গলিটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটিতে জল জমে। বেহাল দশা। অব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি আমি বিয়ে করছি এবং যদি রাস্তা এবং গলিটি সংস্কার করা না হয়, বরযাত্রী পৌঁছবে কীভাবে। আলিগড়ের রামঘাট রোড থেকে আসবে বরযাত্রীরা। তহসিল ইগলাসের নাগলা চুরা গ্রামে আমার বাড়িতে পৌঁছবে তো ওঁরা আদৌ?" করিশ্মা উচ্চশিক্ষিতা। বিএড করেছেন। ছয় ভাই-বোন রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, শুধু বেহাল রাস্তার জন্য অনেকেই বিয়ে বা কোনও শুভ অনুষ্ঠান গ্রামের বাইরে অন্যত্র করতে বাধ্য হন। তবে করিশ্মার আবেদনের পর এবার সেই দুঃস্বপ্ন কাটতে পারে বলেই মনে করছেন সকলে।