রামেশ্বরম: তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মূর্তির সামনে কাঠে খোদাই করা গীতা রাখা নিয়ে রীতিমত রাজনৈতিক বিতর্ক।

এমডিএমকে প্রধান ভাইকোর বক্তব্য, হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার কারণেই কালামের মূর্তির সামনে গীতা রাখা হয়েছে। কংগ্রেস আবার গোটা ঘটনায় বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে।

পরিস্থিতি দেখে কালামের সম্পর্কিত ভাইপো শেখ সালিম এই মূর্তি যারা স্থাপন করেছে, সেই কালাম মেমোরিয়াল প্রজেক্টের প্রধান, ডিআরডিও-র কর্নেল বিশ্বজিৎ চৌবের দ্বারস্থ হন। বহু বছর ধরে কালাম ঘনিষ্ঠ কর্নেল চৌবে তৎক্ষণাৎ দেখিয়ে দেন, মূর্তির কাছেই কাঁচের বাক্সে কোরান ও বাইবেল রয়েছে। বিতর্ক মেটাতে সালিম সাংবাদিকদের ডেকে বইদুটি বার করে দেখান, তারপর ফের রেখে দেন কাঁচের বাক্সে।

কিন্তু সমস্যা মেটার বদলে এ নিয়ে ফের শুরু হয় ঝামেলা। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী সালিমের নামে পুলিশে অভিযোগ করে বলে, তিনি গীতার কাছে কোরান আর বাইবেল এনে রেখেছেন। এরপর কয়েকজন আবার ফের অভিযোগ করে, ওই বইদুটি মিলছে না, সম্ভবত হিন্দুত্ববাদীরা তুলে নিয়ে গিয়েছে।

তখন ফের আসরে নামেন কর্নেল চৌবে। তিনি পুলিশে ফোন করে বলেন, বইদুটি কাঁচের বাক্সে যথাস্থানে রাখা আছে, সালিম শুধু সাংবাদিকদের দেখানোর জন্য ও দুটি বার করেছিলেন।

জানা গিয়েছে, কালামের যে ছবি দেখে ওই মূর্তি বানানো হয়, তাতে কালাম বীণা বাজাচ্ছিলেন, সামনে রাখা ছিল গীতা। তাঁর টেবিলে সব সময় রাখা থাকত গীতা, বাইবেল ও কোরান। আর থাকত প্রাচীন তামিল সাহিত্যসম্ভার থিরুক্কুরাল।