চন্ডিগড়:কাশ্মীরে সেনার হাতে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হোক। এমনই দাবি তুললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরে যারা সমস্যা তৈরি করছে তাদের মোকাবিলায় সেনাকে অবাধ অধিকার দিতে হবে। পরিষদের কর্মীদের এক সভায় তোগাড়িয়া বলেছেন, কাশ্মীরে তো দেশের সেনাও সুরক্ষিত নয়। তাহলে আর সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কথা বলে কী হবে। আমার প্রস্তাব, যারা সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে, তাদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে সেনাকে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সেনার হাতে অবাধ ক্ষমতা দিতে হবে। ১৯৭১-র ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভিএইচপি সভাপতি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সাহসী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তোগাড়িয়া বলেছেন, আমি বলছি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় চলে এসেছে। ইন্দিরা গাঁধী যদি তখন পাকিস্তান ভেঙে দুটুকরো করে তাদের ৯০ হাজার সেনাকে যুদ্ধবন্দী করতে পারেন, তাহলে এখন পাকিস্তানকে পাঁচ টুকরো করে তাদের ১ লক্ষ সেনাকে ধরার সময় চলে এসেছে। তোগাড়িয়ার কথায়, দেশের সেনা জওয়ানরা প্রতিদিনই কাশ্মীরে প্রাণ হারাচ্ছেন। সেজন্যই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া উচিত। জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়কের পাক-পন্থী স্লোগান প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তোগাড়িয়া বলেছেন, ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করা উচিত এবং আদালতে তাঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে দেশের কেউ পাক-পন্থী স্লোগান দেওয়ার সাহস না করে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতি সরকার সেনা-বিরোধী। তাই ওই সরকারকে বরখাস্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তোগাড়িয়া।