নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার জঙ্গি থাকার কথা প্রকাশ করে ভারতের নিশানায় ইমরান খান। তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তান বা কাশ্মীরের কোথাও না কোথাও লড়াই করা ৩০০০০-৪০০০০ ‘সশস্ত্র লোক’ এখনও তাঁর দেশে আছে বলে কবুল করেছেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইমরানের বক্তব্যকে ‘অকাট্য স্বীকারোক্তি’ বলল ভারত।
ইমরান পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের অস্তিত্বের কথা মেনেও অবশ্য পূর্বতন সরকারগুলির দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছেন যে, তারাই আমেরিকাকে সত্যি কথাটা বলেনি যে, পাকিস্তানে জঙ্গিরা সক্রিয়। আজ নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, পাকিস্তানি নেতৃত্ব একটা চরম সত্যি মানল। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে এও বলেন, সময় হয়েছে, এবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ও বন্ধ করে দেওয়া হবে না, এমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কুমার ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছেন এবং তিনি সুযোগ পেলে তাতে রাজি। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় ভারতে। তবে কুমার ট্রাম্পের সেই বিতর্কে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, এখন আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলার সময়। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব জোরদার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন বলেছেন, পাকিস্তানকে বারবার বলা হয়েছে, তারা যেন নিজেদের ভূখন্ডকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে কোনওভাবেই ব্যবহৃত হতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করে এ ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য, স্পষ্ট পদক্ষেপ করে। কিন্তু পাকিস্তান এখনও কাজে তার পরিচয় দেয়নি। তিনি বলেন, সরকার কূটনৈতিক সূত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি কাজকর্মে আর্থিক মদত দানের মতো বিষয়ে লাগাতার কথা বলে চলেছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়, সব বকেয়া বিরোধ সিমলা চুক্তি, লাহোর ঘোষণার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক স্তরে, শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটাতে চায়। কিন্তু যে কোনও অর্থবহ আলোচনাই হতে হবে সন্ত্রাস, শত্রুতা, হিংসামুক্ত আবহাওয়ায়। সেটা তৈরি করতে হবে পাকিস্তানকেই।