মহিলাদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী কবিতা কৃষ্ণন বিষয়টি ফেসবুকে জানানোর পর এই লজ্জাজনক ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, এআইসিসিটিইউ-র জাতীয় সম্পাদক সন্তোষ রায় ওই বৃদ্ধর সমর্থনে এগিয়ে আসেন। তিনি ওই তরুণদের ক্ষমা চাইতে বলেন। এই অনুরোধে পাত্তা না দিয়ে তারা রায়ের কলার চেপে ধরে পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। শেষপর্যন্ত খান মার্কেট স্টেশনে একজন রক্ষী ওই কম্পার্টমেন্টে আসেন।ওই তরুণদের পান্ডারা রোড স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার কয়েকদিন পরে ওই থানায় যান রায়। তিনি জানতে পারেন, ওই বৃদ্ধ অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, ওই দুই তরুণ ওই বৃদ্ধর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কৃষ্ণন জানিয়েছেন, ‘ওই বৃদ্ধ ভদ্রলোক লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন যে, তিনি ওই দুই তরুণের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন এবং তাদের অল্পবয়সের কথা মাথায় রেখে ক্ষমা করে দিয়েছেন’।