নয়াদিল্লি ও কলকাতা:  মঙ্গলবার রাতে মোদীর আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে বেকায়দায় বহু রাজনীতিক, যাঁরা নির্বাচনী প্রচার লড়ার জন্যে কালো টাকার ব্যবহার করার কথা ভেবেছিলেন, তোপ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পরেশকরের। মোদীর এই সিদ্ধান্তকে মাস্টারস্ট্রোক বলে বর্ণনা করেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা হঠাত্ এই সিদ্ধান্তে কিছুটা দুর্ভোগেও পড়েছেন আমজনতা।


গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়বেন সেসমস্ত রাজনীতিকরা যাঁরা কালো টাকা ব্যবহার করতেন নির্বাচনী যুদ্ধ লড়ার জন্যে। মোদীর প্রশংসা করে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন একমাত্র ৫৬ ইঞ্চির ছাতি রয়েছে এমন ব্যক্তির পক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। এই সিদ্ধান্তে লাভ হবে জনসাধারণের এবং যাঁরা নিয়মিত কর দিতেন তাঁদের। তিনি মনে করেন মোদীর এই সিদ্ধান্তে বাজার থেকে কার্যত কোলা টাকা উধাও হয়ে যাবে।

তবে প্রধানমন্ত্রীর আচমকা এই ঘোষণায় বিপাকে আমজনতা। মঙ্গলবার রাত থেকে এটিএম ও পেট্রোল পাম্পের বাইরে মারাত্মক লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।

জেলা থেকে শহর সর্বত্র চূড়ান্ত হয়রানির ছবি ধরা পড়েছে, শিকেয় উঠেছে বেচাকেনা। বুধবার বন্ধ ব্যাঙ্ক-এটিএম। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, পেট্রোল পাম্প, ওষুধের দোকানে ছাড় থাকা সত্বেও ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করছেন মালিকরা। মানিকতলা বাজার, কোলে মার্কেট, মল্লিকঘাট ফুল বাজারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। কী করবেন ছোট ব্যবসায়ীরা? পচনশীল জিনিস কীভাবে বিক্রি করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। কম দামে জিনিস বিক্রি করছেন অনেকেই। নাজেহাল বিক্রেতারাও। সব মিলিয়ে সকাল থেকে নোট-সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ।

৫০০-১০০০ টাকার নোট নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, বাস্তবের ছবিটা একেবারে আলাদা। কোথাও হাসপাতালের বিল মেটাতে গিয়ে, কোথাও আবার ওষুধ কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

মোদীর ‘তুঘলকি সিদ্ধান্তে’ সরব মমতা