পানাজি: গোয়ায় ১৭টি আসন পেয়েছে, সরকার গড়ার ম্যাজিক অঙ্ক থেকে চারটি কম। কিন্তু কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে নির্দল ও অন্য ছোটখাট দলের সমর্থন জুটিয়ে শেষ পর্যন্ত গোয়ায় বিজেপি সরকার গড়ছে, সেজন্য নিজেদের দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকেই দুষছেন কংগ্রেস বিধায়করা।


১৩টি আসন পাওয়া সত্ত্বেও গতকাল দিনভর দৌড়ঝাঁপ করে প্রয়োজনীয় সমর্থন সুনিশ্চিত করে সরকার গড়ার দাবি পেশ করে বিজেপি। মনোহর পর্রীকরের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে তারা।

আজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ। ভালপই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিশ্বজিত্ রানে, তালেইগাঁও থেকে জয়ী হওয়া একমাত্র মহিলা কংগ্রেস বিধায়ক জেনিফার মনসেরাট্টে, সকলেরই বক্তব্য, একক বৃহত্তম দল হিসাবে প্রথম সরকার গড়ার অধিকার কংগ্রেসেরই। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পর নেতৃত্বের ভূমিকায় তাঁরা হতাশ। অভিযোগ, নেতৃত্ব আসল সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ। রানের মত, পরিষদীয় দলনেতা বাছতে বিলম্ব করেছেন নেতারা। মনসেরাট্টের দাবি, সরকার গড়তে না পারার জন্য দায়ী নেতারাই। তিনি বলেছেন, মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিলেন। কিন্তু নেতারা তার মর্যাদা রাখতে পারলেন না। এর দায় নিতে হবে তাঁদেরই।
শনিবার গোয়ায় ভোটের ফল বেরনোর পর ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতেই নির্দল বিধায়ক রোহন খউন্তে বিজেপির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন। কংগ্রেস যোগাযোগ করার আগেই সেদিনই বিজেপি আলোচনা শুরু করে দেয় গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির তিন বিধায়কের সঙ্গেও।
আলেক্সিও রেজিনাল্ডো লোরেন্সো নামে আরেক কংগ্রেস বিধায়কেরও দাবি, মানুষ চেয়েছিল কংগ্রেসের সরকার। কিন্তু দলের নেতারা সেই ইচ্ছাতে সম্মান জানাতে পারলেন না।
এদিকে দলের গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতা তথা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ বিক্ষুব্ধ দলীয় বিধায়কদের আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন।