বিজেপি এই সাফল্যকে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্তের নেতৃত্বে রাজ্যবাসীর আস্থার প্রতিফলন বলে দাবি করেছে। লকডাউন পরিস্থিতি পরিচালনা, করেনাভাইরাস অতিমারী, বিতর্কিত রেলওয়ে ডাবল ট্র্য়াকিং প্রকল্প রূপায়ণে এগিয়ে যাওয়ার মতো ইস্যুতে দলের ভিতরে, বিরোধীদের আক্রমণ, সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
দলের ভোট সাফল্য়ের পর ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, গোয়ার মানুষ বিজেপি, আমার নেতৃত্বাধীন গোয়া সরকারের ওপর যে আস্থা প্রকাশ করেছেন, মাথা পেতে তা স্বীকার করছি। আসুন, একই আস্থা, বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে এক চমত্কার, স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া গড়ে তুলি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সদানন্দ শেট তানাবাদে বলেছেন, গোয়ার গ্রামীণ এলাকায় বিজেপি সমর্থন পেয়েছে। সোস্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তোলা হয়েছে, তামনার প্রকল্প, ডাবল ট্র্য়াকিং,কোল আইআইটি, সব এনজিও, রাজনৈতিক দলগুলি মিলে কত না অভিযোগ তুলেছিল, সোস্যাল মিডিয়ায় সরকারের দুর্নাম করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই ফলে ওরা গালে একটা থাপ্পড় খেলো, বিজেপির ভাল কাজ প্রশংসা পেল।
ভোটগণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তখন যেখানে যেখানে কংগ্রেস ভেঙে বিধায়করা তাদের দলে ভিড়েছেন, সেখানে বিরোধীদের কাছে আসন খুইয়েছে বিজেপি।
২০১৫-য় বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন, নির্দলরা ১৫টিতে জিতে দারুণ ফল করেছিল। ৫ বছর বাদে দেখা গেল, পায়ের তলায় শক্তি মাটি হয়েছে বিজেপির। কংগ্রেস, এনসিপি ২০১৫-র জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি লড়েনি। নির্দল হিসাবে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল।
ভোটের ফলে আরও ইঙ্গিত, বিজেপি রাজ্য়ে রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি বহুজন সমাজের সমর্থন ফিরে পেয়েছে, যারা ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরিত্যাগ করায় ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় মাত্র ১৩টি আসন পায় তারা।
জেলা পরিষদের ভোটে বিজেপি ৪৩, কংগ্রেস ৩৮, আপ, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ১৭ জন করে প্রার্থী দেয়। ৭৯ জন লড়েন নির্দল হিসাবে।