শ্রীনগর: ইদেও শান্তি ফিরল না অশান্ত কাশ্মীরে। উল্টে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১০টি জেলাতেই বসল কারফিউ। ইদের সময় যাতে হিংস্র জনতা, কট্টরপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি নেতারা নতুন করে ঝামেলা বাধাতে না পারে, তাই উপত্যকা জুড়ে দ্রোণ, হেলিকপ্টার ও অত্যাধুনিক ক্যামেরায় নজরদারি চলছে। এর মধ্যে অনন্তনাগের শেরবাগ পুলিশ স্টেশনে গ্রেনেড হামলা করেছে জঙ্গিরা। এতে ১জন মারা গেছেন, ৩ পুলিশকর্মী সহ আহত ১৪।

প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শ্রীনগরে রাষ্ট্রপুঞ্জের অফিস পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মিছিল বার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফের এই কারফিউ বলবৎ করার সিদ্ধান্ত। কাশ্মীরে সন্ত্রাসের পদক্ষেপ হওয়ার পর ২৬ বছরে এই প্রথম ইদগাহ ও হজরতবাল মসজিদে কোনও ইদের জমায়েত হচ্ছে না। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য বিএসএনএল ছাড়া অন্য সব ইন্টারনেট পরিষেবা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে।

সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, উপত্যকায় ফের নতুন করে হিংসা শুরু হলে ব্যবস্থা নেবে তারা। গ্রামীণ এলাকায় ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

এর মধ্যে সোমবার পুঞ্চে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে চতুর্থ জঙ্গি। রবিবারই গুলির লড়াইয়ে মারা যায় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গি। অর্ধসমাপ্ত একটি সরকারি অফিসে ডেরা বেঁধেছিল তারা। সংঘর্ষে ১ পুলিশ কর্মী শহিদ হয়েছেন। সেনা জানিয়েছে, জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ এখনও চলছে। ঠিক কতজন জঙ্গি ওই বাড়িতে লুকিয়ে আছে, তা জানায়নি সেনা।