নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত পেল ‘সারোগেসি বিল-২০১৬’। অর্থের বিনিময়ে সন্তান ধারণে আসছে নিষেধাজ্ঞা। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি। বিলটি আগামী অধিবেশনে পেশ হবে লোকসভায়।


আধুনিক সময়ে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়াটা অনেক সহজ করে দিয়েছে ‘সারোগেট মাতৃত্ব’।

কিন্তু তা নিয়েও অভিযোগের অন্ত নেই। তাই সারোগেট ক্লিনিক, গর্ভ ভাড়া দেওয়া মা বা সন্তান পেতে ইচ্ছুকদের আইনি পথে আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র। সংসদে আসছে বিল। বুধবার সেই বিলের খসড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

 

সারোগেট মাদারদের অধিকার ও সন্তানদের বংশপরিচয় সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এই বিলে। খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্তত ৫ বছর বৈধ বিবাহিত জীবনযাপন করছেন এমন দম্পতিই সারোগেসির সাহায্য নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে স্বামীর বয়স হতে হবে ২৬ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে, স্ত্রীর ২৫ থেকে ৫০। ইচ্ছুক দম্পতি যে শারীরিকভাবে সন্তানধারণে সক্ষম নন, তার ডাক্তারি সংশাপত্র দিতে হবে। যাঁদের সন্তান আছে বা দত্তক নিয়েছেন, তাঁরা সারোগেসির সুবিধা নিতে পারবেন না। যাঁরা অবিবাহিত, সিঙ্গল মাদার, লিভ করেন বা সমকামী, তাঁরাও এই সুবিধা নিতে পারবেন না।

 

যাঁরা অন্যের সন্তান ধারণের জন্য গর্ভ ভাড়া দেবেন, তাঁদের জন্যও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ থাকছে বিলে। বলা হয়েছে, একজন মহিলা একবারই সারোগেট মা হতে পারবেন।

যিনি গর্ভ ভাড়া দেবেন, সেই মহিলাকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে এবং আগে সন্তানের জন্ম দিতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে সারোগেসি করা যাবে না।

 

সারোগেট ক্লিনিকগুলি যাতে কোনও অনিয়ম না করতে পারে বা সন্তান জন্মানোর পর সারোগেট মায়েরা যাতে অবহেলিত না হন, সেদিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র। বিলে বলা হয়েছে,

সন্তান জন্মের পর কোনওভাবেই সারোগেট মাদারকে অবহেলা বা অযত্ন করা যাবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুর মতোই সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুও সব রকম অধিকার পাবে। সমস্ত সারোগেট ক্লিনিককে নথিভুক্ত হতে হবে। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য অন্তত ২৫ বছরের নথি রাখতে হবে।