নয়াদিল্লি: যে ব্যক্তিরা করফাঁকি দিয়ে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন বা যাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তেমন করদাতাদের নোটিস বা সমন পাঠিয়ে বকেয়া কর মেটানোর নির্দেশ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক, বিমা বা পুরসভার তথ্যভাণ্ডার থেকে ঠিকানা নিতে পারবে আয়কর বিভাগ। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে আইন বদল করেছে। এতদিন প্যান বা আয়কর রিটার্ন ফাইলে দেওয়া ঠিকানাতেই করখেলাপিদের নোটিস পাঠানো হত। কিন্তু আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা জানান, করখেলাপি ব্যক্তিরা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে ঠিকানা বদল করেছে, না হয় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে প্যান বা আয়কর রিটার্ন ফাইলে থাকা ঠিকানায় নোটিস পাঠিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। সেই কারণেই আইন বদল করা হয়েছে।

আয়কর বিভাগের এক আধিকারিক বলেছেন, অর্থমন্ত্রক সম্প্রতি আয়কর আইনে বদলের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এর ফলে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা করখেলাপিদের নোটিস দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, বিমা সংস্থা, কৃষি বাবদ আয়ের রিটার্ন বা আর্থিক লেনদেনের বিবরণে থাকা ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি, স্থানীয় প্রশাসনের নথিতে যে ঠিকানা রয়েছে, সেখানেও পাঠানো যাবে নোটিস।

আয়কর বিভাগের ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট  ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) করখেলাপিদের নোটিস পাঠানোর ঠিকানা সংক্রান্ত বদল কার্যকর করেছে। বহু ব্যক্তি কোটি কোটি টাকা কর বাকি রেখেছেন। নতুন আইনের ফলে তাঁদের খুঁজে বার করা সহজ হবে। ঠিকানা বদল করে পার পাবেন না করখেলাপিরা। সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং করখেলাপিদের সাজার ব্যবস্থা করাই নতুন আইনের লক্ষ্য।