নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে গুলশনের কাফেতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় সামিল পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গির একজন বিতর্কিত ভারতীয় মৌলবি জাকির নায়েকের প্রচারে উদ্ধুদ্ধ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ, নারকীয় সন্ত্রাস চালানো জঙ্গিরা গত শুক্রবার কাফেতে ২০ জন পণবন্দিকে গলা কেটে বা গুলি করে খুন করে। তাদের হিংসার বলি হন ২ পুলিশকর্মীও।


 

বাংলাদেশের মিডিয়ার খবর, তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই নাশকতায় যোগদানকারীদের অন্যতম, সে দেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের এক নেতার ছেলে, রোহন ইমতিয়াজ গত বছর ফেসবুকে জাকিরের ভাষণ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ফেসবুকে প্রচার চালিয়েছিল। ঘটনাচক্রে জাকির বাংলাদেশে পিস টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুবই জনপ্রিয়। ভাষণে বিতর্কিত এই মৌলবি সব মুসলিমকে সন্ত্রাসবাদী হতে ডাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ। মুম্বইয়ের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাকির অন্য ধর্ম, এমনকী বিভিন্ন মুসলিম গোষ্ঠীকেও তুচ্ছতাচ্ছিল্য, হেয় করেন বলে জানা গিয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন, কানাডা। মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ১৬ ইসলামি পন্ডিতদের মধ্যেও তিনি আছেন। তাহলে গুলশনের ঘাতকদের একজনের অনুপ্রেরণা তিনি, এ কথা জানার পর ভারত কি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে নারাজ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিবিশেষ নয়, আমরা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করি। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি। ওরা অনুরোধ করলে কী করা যায়, খতিয়ে দেখব আমরা।

ঘটনাচক্রে গুলশনকাণ্ডের আরেক হামলাকারী নিবরাস ইসলাম ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দুই সন্দেহভাজন নিয়োগকারী মেহদি বিশ্বাসকে ট্যুইটারে ফলো করত বলে জানা গিয়েছে। সে মেহদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সামি উইটনেসে নিয়মিত নজর রাখত। ঘটনাচক্রে আইএসের মতাদর্শ প্রচারের দায়ে ভারতে বিচার চলছে মেহদির।