নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিলেও তা মানতে তারা রাজি নয়। সরকার সূত্রে খবর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করছে তারাও কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলার প্রশ্ন নেই।


যত দিন যাচ্ছে, তত উত্তপ্ত হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি। টানা কয়েক মাস ধরে এ জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে তারা। কেন্দ্র মেনে নিচ্ছে, এ জন্য পর্যটকদের উপত্যকায় আসার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী মুফতিই হোন বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়- নানা দিক থেকে সরকারের ওপর চাপ আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য। কিন্তু কেন্দ্রের ধারণা এতে আদপে কোনও ফল মিলবে না। হুরিয়ত কনফারেন্সের অশীতিপর নেতা সৈয়দ আহমেদ শাহ গিলানি এই অশান্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে স্থানীয় মানুষের জন্য রীতিমত স্ট্রাইক ক্যালেন্ডার ইস্যু করেছেন তিনি। তাতে বলা আছে, কখন, কোথায় নিরাপত্তা বাহিনী ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হবে। দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা রক্ষীর কনভয় ও টহলদার দলের ওপর পাথর ছুঁড়তে বিক্ষোভকারীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ধারণা, ইসলামাবাদ এই হুরিয়ত নেতাদের ব্যবহার করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ছোট করে দেখানোর জন্য, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা নিষ্প্রয়োজন।

জানা গিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে কোনও শর্টকাট রাস্তা ধরার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। বরং দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের কথা ভাবছে তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীরও মনে হচ্ছিল, তাদের হাত পা বাঁধা কিন্তু সরকার আশ্বস্ত করেছে, কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শিরদাঁড়া ভেঙে দিতে তারা যে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে। এই মুসলিম গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।