প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমানটি থেকে একটিও সিগন্যাল আসেনি, কোনওভাবে যোগাযোগের চেষ্টা হয়নি। তাই আমেরিকার সাহায্য চাওয়া হয়েছে, জানার চেষ্টা চলছে, তাদের উপগ্রহে এ এন-৩২-র কোনও সংকেত ধরা পড়েছে কিনা। অন্যান্য দেশেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এখন শুধু আশা করা যায়, যে, এই প্রচেষ্টা সফল হবে।
বিমানটির কোনওরকম নাশকতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কীভাবে একটি বিমান এভাবে মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কথা হয়েছে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানদের সঙ্গেও। তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না, কোনওরকম সংকেত ছাড়াই কীভাবে বিমানটি আকাশ থেকে পুরোপুরি উধাও হয়ে গেল।
পর্রীকর জানিয়েছে, নৌসেনার ১০টি জাহাজ ও সিন্ধুধ্বজ সাবমেরিন দিয়ে ঢুঁড়ে ফেলা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের সংশ্লিষ্ট এলাকা। যদি কিছু উদ্ধার হয়, তাহলে গভীর সমুদ্রে যন্ত্রপাতি পাঠিয়ে ধ্বংসাবশেষ তুলে আনার ব্যবস্থা হবে। মরিশাস থেকে এ জন্য বঙ্গোপসাগরে নিয়ে আসা হচ্ছে সাগরনিধি জলযানকে। এটি একবারে ৬,০০০ মিটার সমুদ্রের নীচে নামতে পারে। কিন্তু সব কিছুর আগে কোনও একটা সূত্র পেতে হবে। এভাবে কোনও তথ্য ছাড়া সমুদ্রে নেমে খোঁজাখুঁজি সম্ভব নয় বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন।