নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রমাণ চেয়েছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সূত্রের খবর, সরকার সেনার ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশের পক্ষপাতী নয়। সূত্রের খবর, রণনৈতিক কারণে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছিল। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। তাই সরকার এ ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে নারাজ।

সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ৯০ মিনিটের ফুটেজ সরকারের হাতে রয়েছে। অভিযানে সামিল জওয়ানদের হেলমেটে বসানো ক্যামেরা থেকে ওই ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। অভিযানের সময় সেনা কম্যান্ডোদের হেলমেটে থার্মাল ইমেজিং এবং নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো ছিল। সেনার নর্দান কম্যান্ডের পক্ষ থেকে সাউথ ব্লকে সেনার প্রধান দফতরে ২০ থেকে ৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ ছবি পাঠানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রমাণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সেনার আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের আশঙ্কা, এতে কোনখান দিয়ে কম্যান্ডোরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকেছিলেন, জঙ্গিদের লঞ্চিং প্যাড পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য কোন পথ নিয়েছিলেন, এ ধরনের অভিযান সংক্রান্ত তথ্য শত্রুপক্ষের হাতে চলে যাবে।

উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রায় একইসুরে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহও ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশের আর্জি জানিয়েছেন। কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরুপম তো সেনা অভিযানকেই ভুয়ো বলে বসেন! পরে অবস্থান কিছুটা নরম করে কংগ্রেস বলে, সেনার সাফল্য নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ইউপিএ আমলেও তিন বার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে সেনা। কিন্তু এ বারে ভারত সরকারি ভাবে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর কথা বলার পর থেকে পাকিস্তান যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা থামাতে প্রমাণ সামনে আনা দরকার।