নয়াদিল্লি: সরকারি টাকা মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছিলেন। মেয়েকে ভুতুড়ে কর্মী হিসেবে ব্যবহার করে সরকারের ১৩.৬৭ লক্ষ টাকা তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার করে দিয়েছিলেন ওই প্রাক্তন সরকারি কর্মী। এই ঘটনায় ৬৩ বছরের ওই প্রাক্তন সরকারি কর্মীর সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল  সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিশেষ সিবিআই বিচারপতি ওই সিজিএইচএস কর্মী নীলম সেহগালের ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন। শুধু তাই নয়, ষড়যন্ত্রের শরিক হিসবে নীলমের স্বামী ৭৭ বছরের জগদীশ সেহগালকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জগদীশও প্রাক্তন সরকারি কর্মী।
এই মামলায় সরকারি অর্থ তছরুপের দায়ে নীলমের কন্যা রিতু সেহগালের ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। আদালত বলেছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে অর্থ জমা পড়েছে তা যে তাঁর নয়, সে কথা জানতেন রিতু। কিন্তু এরপরও নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রিতুও চাকরি করেন।
আদালত বলেছে, ওই সরকারি কর্মী নিলমের স্বামীও সরকারি কর্মীই ছিলেন। তাঁদের মেয়েও চাকরি করেন। ওই পরিবারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। এরপরও নীলম লোভের বশবর্তী হয়ে সরকারি অর্থ তছরুপ করেছেন।
নীলম বেতনের বিল, এরিয়ার বিল এবং অন্যান্য অ্যালাউন্সের বিল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। আদালত বলেছে, নীলম তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। যে টাকা কর্মরত ও প্রাক্তন সরকারি কর্মীদের চিকিত্সা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় করা যেত, সেই টাকা নীলম নিজের মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার করেছেন।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিজিএইচএসে ২০০৮ থেকে ২০১৩-তে অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত আপার ডিভিশন ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেন নীলম। ওই সময় পর্বে তিনি তাঁর মেয়ের নাম ভুতুড়ে কর্মী হিসেবে খাতায় তোলেন এবং ইলেক্ট্রনিক ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস-এর মাধ্যমে টাকা মেয়ের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে দিয়েছিলেন।