নয়াদিল্লি:  কেন্দ্র। এবার রেশন ব্যবস্থাতেও রান্নার গ্যাসের ধাঁচে ভর্তুকির টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার কথা ভাবছে। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক।

এই সম্ভাবনার সুবিধে অসুবিধে খতিয়ে দেখতে ৩ জন ট্রেনি আইএএস অফিসারকে রাঁচি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রক। এখান থেকেই সম্ভবত চালু হবে নয়া এই প্রক্রিয়া। এটি কার্যকর হলে গ্রাহকরা ভর্তুকির টাকা আগেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। এরপর ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এমন কোনও রেশন দোকান থেকে রেশন নিতে হবে তাঁকে। যদি গ্রাহক ওই ডিভাইস ব্যবহার করা রেশন দোকান থেকে রেশন তুলতে না পারেন, তবে পরের মাসে ভর্তুকির টাকা পাবেন না তিনি। এর ফলে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধে ভোগ করেন যাঁরা, তাঁরা ভর্তুকির অর্থ অন্যত্র খরচ যাতে না করতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রকের মতে, এভাবে রেশনে খাদ্যশস্য দেওয়া আর ভর্তুকি- দু’ক্ষেত্রেই টাকা নয়ছয় পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব।

রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে গ্রাহক কোনও একজন নির্দিষ্ট এলপিজি সরবরাহকারীর থেকে গ্যাসের সংযোগ নেন আর কেন্দ্র ওই সরবরাহকারীর মাধ্যমে গ্রাহককে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কিন্তু রেশন ব্যবস্থায় যেহেতু সেটা সম্ভব নয়, তাই গ্রাহককে এ ক্ষেত্রে রেশন দোকান থেকেই রেশন নিতে হবে ও ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল নিশ্চিত করবে গোটা বিষয়টি যাতে স্বচ্ছভাবে হয়।

এই মুহূর্তে শুধু তিন কেন্দ্রশাসিত এলাকা চণ্ডীগড়, পন্ডিচেরী এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে খাদ্যশস্যের ভর্তুকি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এ সব ক্ষেত্রে ভর্তুকির পুরো অর্থই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে, গ্রাহক তাঁর ইচ্ছেমত যে কোনও জায়গা থেকে খাদ্যশস্য কিনে নেন। কিন্তু এর ফলে আর্থিক নয়ছয় ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

এই মুহূর্তে দেশের ৮১ কোটি চিহ্নিত গ্রাহক ভর্তুকির সুবিধে নিয়ে রেশনে ১ থেকে ৩ টাকা কেজির খাদ্যশস্য তোলেন। এর ফলে কেন্দ্রের প্রতি বছরে খরচ হয় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা।