বৃহস্পতিবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহঋষিও সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলেন, উন্নত দেশগুলিতে ৩-৪ বছর অন্তর নোটের সুরক্ষা সংক্রান্ত চিহ্ন বদল করা হয়। ভারতেরও এই নীতি অনুসরণ করা উচিত।
২০০০ সালে ১,০০০ টাকার নোট বাজারে আসার পর থেকে বাতিল হওয়া পর্যন্ত নকশায় কোনওরকম বদল করা হয়নি। ৫০০ টাকার নোট বাজারে এসেছিল ১৯৮৭ সালে। প্রায় এক দশক আগে এই নোটের নকশায় বদল করা হয়েছিল। নতুন যে নোট বাজারে এসেছে, তাতে আলাদা কোনও সুরক্ষা চিহ্ন নেই। জাল নোট উদ্ধার হওয়ার পর তদন্তে দেখা গিয়েছে, ১৭টি সুরক্ষা চিহ্নের মধ্যে ১১টিই নকল করে ফেলেছে জাল নোটের কারবারীরা। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জেরায় জানিয়েছে, পাকিস্তানে আইএসআই-এর মদতে এই জাল নোট তৈরি হওয়ার পর বাংলাদেশ হয়ে ভারতের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত বছর কলকাতা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট এক সমীক্ষায় জানিয়েছিল, ভারতের বাজারে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের জাল নোট ছড়িয়ে আছে। এই জাল নোট রোখার জন্যই সুরক্ষা চিহ্ন বদল করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।