অ্যাডভোকেট জেনারেলের হয়ে নামা সরকারি এই আইনজীবীর নাম পি নারায়ণন। কেরল হাইকোর্টে তিনি বলেন, হাদিয়াকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় সাফিন জাহানের সঙ্গে। হাদিয়ার বাবার দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস মামলা নিয়ে আদালতের শুনানিকে প্রভাবিত করার জন্য ঘটানো হয়েছে এই বিয়ে। তিনি আরও বলেন, জোর করে মেয়েটির ধর্মান্তরকরণ হয়েছে, হাদিয়ার নিজের পক্ষে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
কেরল হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকারি আইনজীবী বলেছিলেন, ওই তরুণীকে নরকের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা শোনানো হয়েছে, বলা হয়েছে, পাপের ফলে মৃত্যুর পর নরকে যেতে হবে। তাই এই নরক থেকে বাঁচার জন্য ইসলাম কবুল করাই একমাত্র পথ। হাদিয়ার বাবাকে সমর্থনও করেন তিনি।
নারায়ণন বলেছেন, ফেসবুকে তিনি হুমকি পেয়েছেন কি সি নাসির নাসি নামে একজনের কাছ থেকে। সে বলেছে, আরএসএসের সঙ্গে তিনি হাত মিলিয়েছেন। তাঁকে তাই শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়া হবে না, মুখের মধ্যে কাদা ভরে দেওয়া হবে।
এরপরেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।