নয়াদিল্লি: বাজেটে কৃষি ও স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দিল মোদী সরকার। আগামী অর্থবর্ষের জন্য বুধবার সংসদে যে বাজেট পেশ করলেন অরুণ জেটলি, তাতে ২০২২ সাল নাগাদ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেট অনুযায়ী, কৃষি-ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১০ লক্ষ কোটি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র সেচ ও ডেয়ারি প্রক্রিয়াকরণের প্রসারে দুটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে যেখানে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
এবারের বাজেটে কৃষি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫১,০২৬ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। কৃষি সংক্রান্ত অনুসারি শিল্প মিলিয়ে এই বরাদ্দ দাঁড়াল ৫৮,৬৬৩ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রীর আশ্বাস, ভাল ফসলের জন্য কৃষকরা যাতে সময়ে ঋণ পান, সরকার তা নিশ্চিত করবে। এর জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর পাশাপাশি, ভর্তুকিযুক্ত সুদের হারে স্বল্পমেয়াদী ফসল ঋণও পাবেন কৃষকরা। এর জন্য পৃথক ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সাধারণত, কৃষকরা স্বল্পমেয়াদে ৭ শতাংশ সুদের হারে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়ে থাকেন। সুদ সময়ে মেটালে ৩ শতাংশ সুদ ছাড় দেওয়া হয়।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ফসল নষ্ট হলে কৃষকদের সুবিধার্থে ফসল বিমা যোজনার ঘোষণা করেন জেটলি। এই খাতে কভারেজ এরিয়াকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তা আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর।
কৃষির পাশাপাশি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নজর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বাজেটে। জেটলির ঘোষণা অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ ২৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এবারে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ ৪৭,৩৫২ কোটি টাকা।
সরকারের ঘোষণা, প্রতিবছর মেডিক্যালে অতিরিক্ত ৫ হাজার স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন বাড়ানো হবে। জেটলি জানান, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাতে তৈরি হবে দুটি এইমস।
এছাড়া মোদী সরকারের আশ্বাস, ২০১৭ সালের মধ্যে কালাজ্বর ও ফাইলারিয়া, ২০১৮ সালের মধ্যে কুষ্ঠ, ২০২০ সালের মধ্যে হাম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মারোগকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। এর জন্য সুনির্দিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।