নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই বজ্রপাতের ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ছে। এর কারণ জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই দল বজ্রপাতের কারণ জানার জন্য গবেষণা করবে। আজ লোকসভায় এমনই জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেছেন, ‘আবহাওয়া বিভাগ, ক্রান্তীয় আবহাওয়াবিদ্যা ও মিডিয়াম রেঞ্জ ফর ওয়েদার ফোরকাস্টিং বিভাগের বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক। বজ্রপাতের পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই বিশেষজ্ঞ দলকে। ২০১৯-এর মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।’


হর্ষবর্ধন আরও বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আবহাওয়া বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি বজ্রপাতের বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যেভাবে গবেষণা হয়েছে, তার তুলনায় বজ্রপাত নিয়ে অনেক কম গবেষণা হয়েছে। কিন্তু বজ্রপাত নিয়মিত ঘটনা হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা আসার আগে প্রায়ই বজ্রপাত হয়। এর সঙ্গে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, বিদ্যুৎ চমক ও শিলাবৃষ্টি হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ যেমন সমস্যায় পড়েন তেমনই বিমান পরিষেবা, কৃষি, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে।’

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘এ বছরের দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষার মরসুমে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) স্বাভাবিক (গড়ে ৯৬ শতাংশ থেকে ১০৪ শতাংশ) বৃষ্টিপাত হবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আবহাওয়া বিভাগ যাতে নির্ভুলভাবে বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর ফলে ভুল পূর্বাভাসের পরিমাণ কমেছে।’