নয়াদিল্লি: কুলভূষণ যাদব যদি জীবিত থেকে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য পাকিস্তানের আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ দাখিল করা উচিত ভারতের। এমনটাই মনে করেন সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জি ডি বক্সী।


কয়েকদিন আগেই দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ রাজকুমার সিংহ সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, কুলভূষণ সম্ভবত বেঁচে নেই। তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে।


এদিন সেই একই আশঙ্কার কথা শোনা গেল প্রাক্তন সেনাকর্তার গলাতেও। জানান, অকথ্য অত্যাচার করে তাঁকে সম্ভবত মেরে ফেলা হয়েছে। এখন ফাঁসি বলে তা ঢাকার চেষ্টা চলছে।


বক্সী বলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়। বালোচিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে দিয়ে মিথ্যে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।


এরপরই তিনি যোগ করেন, আমাদের আইনজীবীদের উচিত পাকিস্তানের আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ দাখিল করা। এতে কুলভূষণকে আদালত এবং সংবাদমাধ্যমের সামেন পেশ করতে বাধ্য হবে পাক প্রশাসন।


বক্সীর অভিযোগ, ভারত বহু পাক মৎস্যজীবীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে সভ্য দেশের মতো আচরণ করেছে। অথচ, পাকিস্তান সেই ১৯৭১ সাল থেকে প্রায় ৫৬ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে রেখেছে।


সম্প্রতি, মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী কুলভূষণ যাদবকে। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগে এনেছে পাক প্রশাসন। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।


নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছে, কুলভূষণকে ফাঁসি দেওয়া হলে তা পূর্ব-পরিকল্পিত হত্যা হিসেবেই ধরা হবে। একইসঙ্গে, পাকিস্তাবনকে এর ফল ভুগতে হবে বলেও পাকিস্তানকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে ভারত।