নয়াদিল্লি: পশু বাজারগুলিতে নিধনের জন্য গবাদি পশুর ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। পরিবেশ ও বনমন্ত্রকের এক পদস্থ আধিকারিকের বক্তব্য উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।


গত ২৩ মে-র বিজ্ঞপ্তিতে পশুদের উপর হিংসা আইন(ক্রুয়েলটি টু দ্য অ্যানিম্যাল অ্যাক্ট) সংক্রান্ত একটি বিধির বদল নিয়ে পরিবেশমন্ত্রক রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়েছিল। মন্ত্রকের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে তা সংশোধন করার কথা জানিয়ে একটি ফাইল চলতি সপ্তাহেই আইনমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসের ওই বিজ্ঞপ্তির পর মতাদর্শের কারণে দেশজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই গোরক্ষা গোষ্ঠীগুলির তাণ্ডবের একের পর এক ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে।

পশু বাজার গুলিকে শুধুমাত্র কৃষির প্রয়োজনে গবাদি পশুর ক্রয়-বিক্রয় করার এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেন কৃষকরাও। কৃষকরা তাঁদের অপ্রয়োজনীয় গবাদিপশুগুলি ওই বাজারগুলিতে নিয়ে যান। সেখান ক্রেতারা সেগুলি কিনে নিয়ে কসাইখানায় নিয়ে যান।

দেশজুড়ে বিরোধিতার মুখে গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এই বিধি প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কসাইখানা বা কৃষকদের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করা বা কারুর খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ এই বিধির উদ্দেশ্য নয়। ওই সময়ই পরিবেশ মন্ত্রক ওই গবাদি বিধির ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে মতামত জানাতে বলেছিল।

সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরই প্রথম রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে কেরল, পশ্চিমঙ্গ ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলি জানায়, এই বিষয়টি রাজ্যগুলির আওতায় রয়েছে।

গত মে মাসে ওই বিধির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টও স্থগিতাদেশ দেয়।