নয়াদিল্লি: জানুয়ারি থেকে দেশের বিমান পরিষেবায় এক বিপ্লব আসতে চলেছে। সেই সময় থেকেই শুরু হচ্ছে কেন্দ্রের বিমান পরিষেবার নতুন ‘উড়ান’। যার মাধ্যমে এক-ঘ্ণ্টার বিমানযাত্রা  মাত্র আড়াই হাজার টাকায় করতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি।

এদিনই ‘উড়ে দেশ কা আম নাগরিক বা সংক্ষেপে উড়ান’ প্রকল্পের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু। ছোট আন্তঃদেশীয় রুটে বিমান চলাচলকে আরও জনপ্রিয় করতে এই উদ্যোগ।

এভিয়েশন সচিব আর এন চৌবে জানান, বড় বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের ওপর একটি লেভি চালু করে এই পরিষেবার খরচ বহন করা হবে। তিনি জানান, চলতি মাসের শেষে ওই লেভির হার ঘোষণা করা হবে। তবে, তা যে খুব বেশি হবে না, তাও জানিয়ে দেন।

জানা গিয়েছে, বিমান সংস্থা যদি এই লেভি যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তাহলে যাত্রীদের টিকিট প্রতি অতিরিক্ত ৬০ টাকা খরচ বাড়বে। যদিও, সেই আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিয়েছেন বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা।

তিনি জানান, আম জনতার ক্ষমতা এবং বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার লাভ—এই দুটির মধ্যে ভারসাম্য আনার জন্য ত্রিস্তরীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমত, কোনও একটি বিশেষ রুটে এধরনের এক-ঘণ্টার ফ্লাইট চালানোর বরাত এখন তিন বছরের জন্য প্রদান করা হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। আগে, এই মেয়াদ ছিল এক বছরের।

দ্বিতীয়ত, ছোট শহর থেকে দিল্লি বা কলকাতার মতো মেট্রো শহরের রুট হলে, বড় বিমানবন্দরে কোনও চার্জ নেওয়া হবে না। তৃতীয়ত, কোনও শিল্পপতি চাইলে অল্প সংখ্যায় বিমান লিজ নিয়ে বরাত জেতা রুটে বিমান চালানোর অনুমোদন পাবেন। আগে যা সম্ভব ছিল না।

মন্ত্রী বলেন, আগরা, গ্বালিয়র, ইলাহাবাদ ও তেজপুরের মতো এখন ১৬টি এমন বিমানবন্দর দেশে রয়েছে, যেখান থেকে সপ্তাহে সাতটাও ফ্লাইট চলাচল করে না। এছাড়া, ১৫-২০ বিমানবন্দর এমনও রয়েছে যেখান থেকে নিয়মিত বিমান পরিষেবা নেই। তাঁর মতে, ‘উড়ান’ চালু হলে, মোট ৩০টি বিমানবন্দরে নিয়মিত বিমান চলাচল হবে।

জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় ২,৫০০ টাকার বিমান খরচের বিষয়টি নির্দিষ্ট সময় অন্তর খতিয়ে দেখা হবে। কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স (সিপিআই)-এর সঙ্গে বিমানভাড়াকে যুক্ত করা হবে। ফলে, বিমানে করে এই ভাড়া ১,৪২০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। অন্যদিকে, হেলিকপ্টারে করে আধ-ঘণ্টার যাত্রায় ২,৫০০ টাকা লাগবে, এক-ঘণ্টা হলে ভাড়া হবে পাঁচ হাজার টাকা।