বেঙ্গালুরু: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল কর্নাটকের ভোটপ্রচারে জনসভায় তাঁর সরব প্রশংসা করলেও তাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করলেন দেবগৌড়া। কংগ্রেস মোদীর মুখে তাঁর প্রশংসাকে অস্ত্র করে তাঁর সঙ্গে বিজেপির তলে তলে রফার ইঙ্গিত করছে। পাল্টা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সওয়াল, প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেছেন মানে এই নয় যে, বিজেপি ও তাঁর দল জেডি (ইউ) পরস্পরের কাছাকাছি আসছে।
জেডি (ইউ) রাজ্যে বিজেপিকে সমর্থন করতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দেওয়ায় দেবগৌড়া আজ পাল্টা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে নিশানা করেন। দাবি করেন, এই সিদ্দারামাইয়াই ২০০৪ সালে জেডি(এস)-এ থাকার সময় বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, না। আর এখন উনি বলছেন, আমি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছি!
তবে রাহুল গাঁধী তাঁকে অপমান করেছেন বলে মোদীর গতকালের তোলা অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দেবগৌড়া বলেন, এক কন্নড় দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, কিন্তু সিদ্দারামাইয়া কন্নড় গর্বকে আঘাত করার চেষ্টা করেছেন। কন্নড় গর্বকে এভাবেই সম্মান করে কংগ্রেস!
১৯৯৬-৯৭ সালে কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে ১২ মে-র নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে জেডি(এস) ক্ষমতায় ফিরবে বলে দাবি করেন। বলেন, হতে পারে, আমার গুণগান করে সহানুভূতি পেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেটুকুই। এর অর্থ এটা নয় যে, বিজেপি-জেডি(এস) বোঝাপড়া হয়েছে। বাস্তবে জেডি(এস) টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, চন্দ্রশেখর রাও, রাজনৈতিক ময়দানে অন্য বন্ধুদের সহযোগিতায় নিজে সরকার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
গতকাল রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে মোদী কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করে বলেন, উনি দেবগৌড়াকে অপমান করেছেন, ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। দেবগৌড়া দেশের সবচেয়ে সম্মানিত রাজনীতিকদের একজন, যাঁকে তিনিও শ্রদ্ধা করেন। মনে করা হচ্ছিল, ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে সরকার গড়তে জেডি(এস)-এর জন্য বোঝাপড়ার দরজা খুলে রাখার চেষ্টায় দেবগৌড়ার প্রশংসা করছেন প্রধানমন্ত্রী।