কোল্লাম: বিরল কীর্তি গড়লেন ভাগীরথী আম্মা। চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সকলে। দরাজ প্রশংসাও চলছে।

উচ্ছ্বাসের কারণ, কেরলের বাসিন্দা ভাগীরথীর বয়স ১০৫ বছর! চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পর তিনি ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। ভারতে সবচেয়ে বেশি বয়সে চতুর্থ শ্রেণি বা তার সমতুল্য কোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া পড়ুয়া এখন ভাগীরথীই।

কেরলের সাক্ষরতা মিশনের আওতাভুক্ত এই পরীক্ষাটি আয়োজিত হয়েছিল গত বছর। বুধবার সেই পরীক্ষার ফলাফল  বেরোয়।

পড়াশোনায় বরাবরই খুব আগ্রহী ভাগীরথী। তবে খুব ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর ভাইবোনেদের মানুষ করার দায়িত্ব পড়ে তাঁর কাঁধেই। তাই উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে ইতি পড়ে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৯ বছর। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তেন।

ভাগীরথীর স্বামী যখন মারা যান, মাত্র বছর তিরিশেক বয়স। ছয় সন্তানকে বড় করার দায়িত্বও সামলাতে হয় তাঁকে।

তবে বয়সের কারণে টানা লিখতে পারেন না। তাই পরীক্ষার তিনটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর তিনদিনে দিয়েছেন ভাগীরথী। তাঁর তিনটি বিষয় ছিল পরিবেশ, অঙ্ক ও মালয়ালম।  মোট ২৭৫-এর মধ্যে ২০৫ মার্কস পেয়েছেন ভাগীরথী। অঙ্কে পেয়েছেন ফুল মার্কস। পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ১১৫৯৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০০১২ জন। যাঁদের মধ্যে ৯৪৫৬জন মহিলা।

তাঁর ছয় সন্তানের মধ্যে একজন প্রয়াত। ১৫ নাতি-নাতনির মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছে। আপাতত নাতিপুতিদের নিয়ে ভরা সংসার ভাগীরথীর।

এর আগে ২০১৮ সালে ৯৬ বছয় বয়সী কার্তিয়নী আম্মা সাক্ষরতা মিশনে ১০০-র মধ্যে ৯৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়লেন ভাগীরথী।