শ্রীহরিকোটা: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক। প্রথম অপারেশনাল উড়ানেই চূড়ান্ত সফল জিএসএলভি। বুধবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি-এফ০৫ রকেটের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক আপার স্টেজ ইঞ্জিনবিশিষ্ট পরিবেশ সংক্রান্ত সর্বাধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ ইনস্যাট-৩ডিআর-কে মহাকাশে তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করল ভারত। আজ বিকেল ৪.৫০ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

 

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, বিকেল ৪.১০ মিনিটে ইনস্যাট-৩ডিআর-এর উৎক্ষেপণ হবে। কিন্তু পরে সময় বদল করা হয়। সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ৪৯.১৩ মিটার লম্বা কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। মাত্র ১৭ মিনিটের মধ্যেই ২,২১১ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহটি নিজের কক্ষপথে পৌঁছে যায়।

 

ইনস্যাট-৩ডিআর ১০ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকবে। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন খবরাখবর পাঠাবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ।

 

এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জিএসএলভি-ডি৫ এবং ২০১৫ সালের অগাস্টে ডি৬ রকেট থেকে জিস্যাট-১৪ এবং জিস্যাট-৬ কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এই দুটি উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ইঞ্জিনের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।

 

আজ তৃতীয় কৃত্রিম উপগ্রহকে পাঠানোর সময় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক আপার স্টেজ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হল।

 

এই সাফল্যে খুশি ইসরো চেয়ারম্যান এএস কিরণ কুমার। তিনি সহকর্মীদের প্রশংসা করেছেন। সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার এসএইচএআর-এর ডিরেক্টর পি কুনহিকৃষ্ণণ বলেছেন, এই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। নিখুঁতভাবে মহাকাশে নিজের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহটিকে।